চট্টগ্রামে জোড়া খুনের মামলায় গ্রেপ্তার আসামি মো. সজিব (২৯) হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারার জবানবন্দি দিয়েছেন।
সোমবার (৭ এপ্রিল) দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আসামি সজিব জবানবন্দি দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন বাকলিয়া থানার ওসি ইখতিয়ার উদ্দিন।
রবিবার (৬ এপ্রিল) রাতে চট্টগ্রাম নগরের সদর ঘাট এলাকা থেকে সজিবকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সজিব ফটিকছড়ি উপজেলার মধ্য কাঞ্চননগর মকবুল আলীর বাড়ীর বাসিন্দা।
পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তারের পরে জোড়া খুনে ব্যবহৃত ১টি লাল কালো রংয়ের ১৫০ সিসি পালসার মোটরসাইকেল ( চট্টমেট্রো-ল-১৩-৭৯১১) ফটিকছড়ি থানার কাঞ্চন নগর রাজা রাস্তার মাথা এলাকা থেকে আলামত হিসাবে জব্দ করা হয়।
এর আগে জোড়া খুনে বেলাল ও মানিক নামে দুজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। একই মামলায় আদালতের আদেশে পুলিশের তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী সাজ্জাদ হোসেনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
নগরের চান্দগাঁও থানায় দায়ের হওয়া তাহসীন হত্যা মামলায় সাজ্জাদের পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। উক্ত মামলায় চান্দগাঁও থানা পুলিশ সাজ্জাদের দশদিন রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। এর আগে একই মামলায় সাতদিন পুলিশ রিমান্ডে ছিলেন সাজ্জাদ।
জোড়া খুনের মামলায় বুধবার (২ এপ্রিল) রাতে গ্রেপ্তার হওয়া দুই আসামি মানিক ও বেলালকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন চট্টগ্রামের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সরকার হাসান শাহরিয়ার।
বাকলিয়া থানা পুলিশ এ দুইজনের সাতদিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করে। শুনানি শেষে আদালত চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
জোড়া খুনের ঘটনাটি ঘটে গত ২৯ মার্চ রাতে। ওই দিন রুপালি রঙের একটি প্রাইভেট কার কর্ণফুলী শাহ আমানত সেতু এলাকা থেকে বাকলিয়া অ্যাকসেস রোডে আসতে থাকে। গাড়িটি শাহ আমানত সেতু এলাকা থেকে কিছু দূর যাওয়ার পর পেছন থেকে পাঁচটি মোটরসাইকেল সেটিকে ধাওয়া করে। একপর্যায়ে এলোপাতাড়ি গুলি করতে থাকে। প্রাইভেট কারের ভেতর থেকেও মোটরসাইকেল আরোহীদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়। গুলিতে অনেকটা ঝাঁঝরা হয়ে যায় গাড়িটি। নিহত ব্যক্তিরা হলেন বখতিয়ার হোসেন (৩০) ও মো. আবদুল্লাহ (৩২)। তারা সন্ত্রাসী সরোয়ার হোসেনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। গাড়িতে সরোয়ারও ছিলেন, তবে তিনি বেঁচে যান।