প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেছেন, কোনো ক্ষেত্রেই বা কোনো সেক্টরেই সংস্কার কার্যক্রম স্থায়ীত্ব পাবে না, যদি বিচার বিভাগের সংস্কার না করা হয়। বিচার বিভাগের সংস্কারের কথাটি এখন সংস্কারেরই প্রতিশব্দ হয়ে গেছে।
সোমবার (৭ এপ্রিল) সকাল ১১টায় দিনাজপুর জেলার হাকিমপুর মহিলা কলেজের হলরুমে সৈয়দ জাফর আহমেদ ও তাবসেরুন্নেসা মেমোরিয়াল স্কলারশিপ ফান্ডের অর্থায়নে দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আমি দায়িত্ব গ্রহণের পর বিচার বিভাগের অবকাঠামোগত ও সাংবিধানিক একটি সুদূরপ্রসারী সংস্কার প্রস্তাব জাতির সামনে উপস্থাপন করেছিলাম। সে প্রস্তাবনার অনেকটাই বাস্তবায়িত হয়েছে। তবে এখনও অনেক পথ বাকি, যার মধ্যে কিছু পথ দুর্গমও।’
তিনি জানান, বিচার বিভাগের সংস্কারের বার্তা পৌঁছে দিতে দেশের প্রতিটি বিভাগে গিয়ে বিচারকদের সঙ্গে মতবিনিময় করছেন।
অনুষ্ঠানে স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘হিলি আমার জন্মস্থান, এখানে ফিরে আসতে পেরে আমি গর্বিত।’
এর আগে কলেজে পৌঁছালে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন এবং কলেজ কর্তৃপক্ষ তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। পরে পুলিশ তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করে। এরপর কলেজ কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সভা করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে কলেজের ১০ জন মেধাবী শিক্ষার্থীর মাঝে শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল আজিজ আহমেদ ভূঁইয়া, দিনাজপুরের জেলা ও দায়রা জজ আলমগীর কবির, জেলা প্রশাসক রফিকুল ইসলাম, পুলিশ সুপার মারুফাত হোসাইনসহ স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা।