রাউজান প্রতিনিধি ঃ রাউজানে ধূলোবালু থেকে মুক্তি পেতে সড়কে পানি ছিটানোকে কেন্দ্র করে স্থানীয় ছাত্রদের উপর মাটি ব্যবসায়ীর হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত শুক্রবার রাতে এ ঘটনাটি ঘটেছে রাউজান পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের কাজী পাড়া এলাকায়।
জানা যায়, চট্টগ্রাম রাঙ্গামাটি সড়কে চৌধুরী মার্কেট সংলগ্ন থেকে শুরু হয় কাজী পাড়া সড়ক। সড়কটি দিয়ে চলাচল করতে হয় কয়েক’শ পরিবারের হাজারো মানুষ। একই সাথে কাজী পাড়া এলাকায় রয়েছে কয়েকটি ইটভাটা। কালো ধূয়া ও উড়ন্ত বালিতে নাকাল এলাকার মানুষ। গত কয়েক মাস ধরে যোগ হয়েছে অবৈধ ভাবে ভেকু দিয়ে কৃষি জমি ও পাহাড়-টিলা কাটার মহোৎসব। জমি কাটা ও পাহাড়-টিলা কাটা মাটি নিয়ে যাচ্ছে কাজী পাড়া সড়ক দিয়ে। দিন রাত সমান তালে মাটি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ড্রাম ট্রাক ভর্তি করে।
ড্রাম ট্রাকের ভারে ক্ষতবিক্ষত হয়েছে সড়কটি। সড়কের উপর কয়েক ইঞ্চি করে জমেছে ধূলোবালি। ধূলোবালির যন্ত্রণায় অতিষ্ট এলাকার মানুষ। অবৈধ মাটি খেকোরা স্থানীয় ভাবে প্রভাবশালী হওয়ায় প্রতিবাদ করারও সাহস হয় না এলাকার মানুষের। এ অবস্থায় মধ্যভোগীদের রফায় সাপ্তাহে একদিন সড়কে পানি ছিটানোর একটি সমঝোতা হয়। মাটি কাটার লোকজন প্রতি সাপ্তাহে ২ হাজার টাকা করে দেবে স্থানীয় ছাত্র যুবকদের। তারা সাপ্তাহে একদিন পানি ছিটিয়ে ধূলোবালি নিবারণ করবে। এ প্রক্রিয়া কিছুদিন ঠিক থাকলেও , পবের্তীতে মাটি বিক্রেতার তাহা বন্ধ করে দেয়। এ অবস্থায় স্থানীয় ছাত্ররা শুক্রবার রাতে মাটির ট্রাক আটকিয়ে দেয়। এসময় উভয় পক্ষের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে ছাত্রদের উপর হামলা করা হয়। এতে রাজু, সাইমন, জিসান,রনি,সায়েম নামে পাচঁজন আহত হয়। পড়ে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে মাটি ভর্তি একটি ড্রাম ট্রাক থানায় নিয়ে যায়। পরে ক্ষিপ্ত ছাত্ররা সড়কে খুটি বসিয়ে ট্রাক যাতায়ত বন্ধ করে দেয়। আহত রাজু, সাইমন, জিসান,রনি,সায়েম অভিযোগ করে বলেন এলাকার আবদুল মালেকের ছেলে আবদুল মাবুদের নেতৃত্বে আমাদের মারধর করা হয়েছে। পুলিশকে আমরা বলেছি এলাকায় ধূলোবৃষ্টি কারণে মানব দেহে নানা রোগ সৃষ্টি হয়েছে। অবৈধ মাটি কাটা বন্ধ করতে হবে। চলাচলের সড়কটি বাঁচাতে হবে, মানুষকে রক্ষা করতে হবে। পুলিশ একটি গাড়ী আটক করেছে। অপরদিকে অভিযুক্ত আবদুল মাবুদ বলেন, ওরা ছাত্র নয়, ওরা চাঁদাবাজ। তারা আমার কাছে চাঁদা দাবি করে ট্রাক আটকিয়ে দিয়েছে। আমি চাঁদাবাজদের প্রতিহত করেছি। কোন সময় ১০ হাজার, কোন সময় ২০ হাজার টাকা দাবি করে বলে তিনি দাবি করেন।