সদা ব্যস্ততম বন্দরনগরী চট্টগ্রামজুড়ে ইতোমধ্যে ঈদের আমেজ শুরু হয়েছে। স্বজনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে গ্রামের বাড়িতে ছুটছেন হাজার হাজার মানুষ। শহরের প্রধান সড়ক ও অলিগলি ফাঁকা হতে শুরু করেছে। কমতে শুরু করেছে চট্টগ্রাম শহরের চিরচেনা সেই যানজট। তবে শপিংমলকেন্দ্রিক কিছুটা ভিড় এখনো রয়ে গেছে, শেষ মুহূর্তের কেনাকাটার কারনে। বাস টার্মিনালগুলোতেও তেমন ভিড় নেই। সকাল এবং বিকেলে রেলস্টেশনকেন্দ্রিক কিছুটা ভিড় লক্ষ করা যাচ্ছে।
গত মঙ্গলবার(২৫ মার্চ) সকাল থেকেই চট্টগ্রাম শহরের প্রবেশদ্বার সিটি গেট, অক্সিজেন, শাহ আমানত সেতু এবং কাপ্তাই রাস্তার মাথায় গ্রামমুখী মানুষের ভিড় দেখা গেছে। হাতে দীর্ঘ ছুটি থাকায় কারও কোনো তাড়া নেই। যে যার সুবিধামতো গাড়ির ব্যবস্থা করে গ্রামে ছুটছেন। তবে গন্তব্যে যেতে কিছু কিছু গাড়ি বাড়তি ভাড়া আদায় করছে বলে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে।
সিটি গেট এলাকায় কথা হয় নেত্রকোনার যাত্রী নুরুল হকের সঙ্গে। তিনি এখানে একটি মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করেন। তিনি বলেন, অন্যান্যবারের তুলনায় এবারের ঈদযাত্রাটা ভালো হবে বলে তার মনে হচ্ছে। বাসের টিকিটের জন্য খুব বেশি প্রতিযোগিতা নেই। আরেক যাত্রী যাচ্ছেন কুমিল্লায়। তিনিও নুরুল হকের সুরে কথা বলেন।
গ্রামমুখী একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে আলাপকালে তারা জানান, এবারের ঈদের ছুটি দীর্ঘ হওয়ায় তারা নিশ্চিন্তে বাড়ি যাওয়ার পরিকল্পনা সাজিয়েছেন। কিছু ব্যবসায়ী ও চাকরিজীবী পরিবারের সদস্যদের রেখে ফের কর্মক্ষেত্রে ফিরে এসেছেন। তারা ঈদের আগের দিন অর্থাৎ চাঁদ রাতে বাড়ি যাবেন। সেদিন যাওয়ার ব্যবস্থাও করে রেখেছেন।
চট্টগ্রাম জেলা বাস মালিক সমিতির যুগ্ম সম্পাদক মো. শাহজাহান গণমাধ্যমকে বলেন, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবারের চাপ কিছুটা কম। লম্বা ছুটি হওয়ায় মানুষ ধাপে ধাপে বাড়ি যাচ্ছেন। পোশাক কারখানাগুলো আলাদা করে ছুটি ঘোষণা করার ফল এটি। সব কারখানা এক দিনে ছুটি ঘোষণা করলে হঠাৎ চাপ পড়ে। এবার সেই সমস্যা নেই। মহাসড়কেও তেমন যানজটের খবর পাওয়া যায়নি বলে তিনি উল্লেখ করেন।
চট্টগ্রাম রেলস্টেশনের ব্যবস্থাপক আবু বক্কর সিদ্দিকী বলেন, বৃহস্পতিবার(২৭ মার্চ) থেকে সব আন্তনগর ট্রেনের সাপ্তাহিক বন্ধ বাতিল করা হয়েছে। আবার বিশেষ ট্রেনেরও চলাচল শুরু হবে। কারণ সেদিন সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস হওয়ায় চাপ অনেক বেশি বাড়বে। তবে চাপ বাড়লেও কোনো সমস্যা হবে না উল্লেখ করে তিনি জানান, চাপের বিষয়টি মাথায় রেখে তারা প্রস্তুতি নিয়েছেন। ঈদযাত্রার প্রথম দিন কোনো চাপ ছিল না বলে জানান তিনি।