চট্টগ্রামের চান্দগাঁও থানার বহদ্দারহাট এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে মো. ইয়াস শরীফ খান (১৬) নামে এক শিক্ষার্থীকে গুলির অভিযোগে মামলা হয়েছে। মামলায় সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদসহ ৫২ জনকে আসামি করা হয়েছে। অভিযুক্ত করা হয়েছে অজ্ঞাত আরও ২৫০ থেকে ৩০০ জনকে।
শনিবার (১৫ মার্চ) দুপুরে এ তথ্য জানান চান্দগাঁও থানার ওসি আফতাব উদ্দিন। তিনি জানান, হত্যাচেষ্টা ও বিস্ফোরক আইনে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীসহ ৫২ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা রুজু হয়েছে।
মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন— সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন সাবেক মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী, নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ স¤পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন, সাবেক সংসদ সদস্য মহিউদ্দিন বাচ্চু, এমএ লতিফ, যুবলীগ নেতা হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) রাতে নগরীর চান্দগাঁও থানায় মামলাটি রুজু করেন আহত শিক্ষার্থী মো. ইয়াস শরীফ খানের বাবা ব্যবসায়ী মো. এজাজ খান। মো. এজাজ খান নগরের বন্দর থানার আনন্দবাজার জাফরখান পাড়া এলাকার জবু টেন্ডলের বাড়ির বাসিন্দা। মামলাটি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান ওসি।
এজাহারে বাদী অভিযোগ করেছেন, গত বছরের ১৮ জুলাই বিকেল ৪টা ২০ মিনিটের দিকে নগরীর চান্দগাঁও থানার বহদ্দারহাট মোড়ে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আসামি ড. হাছান মাহমুদ ও নওফেলসহ অন্যান্যরা অস্ত্রসজ্জিত হয়ে বাদীর ছেলে ইয়াস শরীফকে গুলি করে। এতে ইয়াস গুরুতর জখম হয়। বর্তমানে তিনি রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন রয়েছেন। চিকিৎসা কার্যক্রম চালাতে মামলা রুজু করতে দেরি হয়েছে।