পবিত্র ওমরাহ ভিসা দেওয়ার হার কমিয়ে দিয়েছে সৌদি সরকার। চলতি মাস থেকে ভিসা প্রত্যাশীদের জন্য কোটা পদ্ধতি চালু করেছে দেশটি। শতকরা ১০ ভাগ বাংলাদেশিকে বর্তমানে ওমরাহ ভিসা দিচ্ছে ঢাকার সৌদি আরব দূতাবাস।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) মহাসচিব ফরিদ আহমেদ মজুমদার।
তিনি বলেন, সৌদি সরকার ওমরাহর ক্ষেত্রে কোটা চালু করেছে। আগে ১০০টি ভিসার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ১০০টিই ভিসা পাওয়া যেত। বর্তমানে ৮-১০ শতাংশ ভিসা পাওয়া যাচ্ছে। কোনো কারণ ছাড়াই গত ৫ মার্চ থেকে এ সমস্যা শুরু হয়েছে। এই সমস্যার সমাধানের ধম মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপে কামনা করেছে।
এদিকে বুধবার(১২ মার্চ) আগামী বছর হজে যেতে ইচ্ছুকদের জন্য নতুন নির্দেশনা দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। এতে ১৫ বছরের কম বয়সীরা হজে যেতে পারবে না বলে উল্লেখ করা হয়েছে। সৌদি সরকারের হজ ও ধর্ম মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুসারে এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মামুন আল ফারুকের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ্ মন্ত্রণালয় শিশুদের সুস্থতা ও নিরাপত্তার বিষয় বিবেচনা করে ২০২৫ সালে হজ পালনে আগ্রহীদের সর্বনিম্ন বয়সসীমা ১৫ বছর নির্ধারণ করেছে। সরকারি ও বেসরকারি উভয় মাধ্যমে নিবন্ধিত যাত্রী, এজেন্সি, ব্যাংকসহ সংশ্লিষ্টদের এ নির্দেশনা মানতে হবে।
জানতে চাইলে উপসচিব মামুন আল ফারুক গণমাধ্যমকে বলেন, সৌদি সরকারের নির্দেশনা আমাদের ফলো করতে হয়। ১৫ বছরের উপরে কেউ যদি হজে যেতে চায় তাকে অবশ্যই প্রাক নিবন্ধন, নিবন্ধন করে যেতে হবে। আর তার নিচে তো যাওয়ার সুযোগ থাকছে না।
ওমরাহ ভিসা কমার বিষয়ে মন্ত্রণালয় অবগত বলেও জানান তিনি। তবে ওমরাহ ভিসা ব্যক্তি বা এজেন্সি টু সৌদি দূতাবাসের মাধ্যমে হয়। ধম মন্ত্রণালয়ের ওইভাবে কিছু করার থাকে না।