নির্বাচন কমিশনে ৩৫টি বা তার বেশি তথ্য উপাত্ত বোনাস হিসেবে আসেনি। এটি বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দিন-রাত পরিশ্রমের ফল। ভোটার তালিকা প্রণয়ন বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের সাংবিধানিক দায়িত্ব। যদি সকল তথ্য ভাণ্ডার একসাথে করতে হয় এবং স্বাধীন কর্তৃপক্ষের অধীনে নিতে হয় তাহলে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন একটি সর্বোত্তম সাংবিধানিক ও শক্তিশালী জাতীয় প্ল্যাটফর্ম হিসেবে বিবেচিত হওয়া স্বাভাবিক। জাতীয় পরিচয় পত্র (এনআইডি) পরিষেবা স্বাধীন নির্বাচন কমিশন হতে সংবিধিবদ্ধ নতুন কমিশনে স্থানান্তরের পরিকল্পনার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) চট্টগ্রাম অঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ের উদ্যোগে সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত লাভ লেইন মোড়ে চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ বশির আহমেদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত কর্মসূচিতে আঞ্চলিক ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ের সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যোগ নেন।
এসময় নির্বাচন কর্মকর্তারা বলেন, জাতীয় পরিচয়পত্রকে (এনআইডি) বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন থেকে নতুন একটি কমিশনে নিয়ে যাওয়ার অপচেষ্টা রাতের ভোটের আয়োজক ও কুশীলবদের সাজানো ষড়যন্ত্র ছিল। একই অবস্থা সামনের দিনগুলোকে আরও বেশি অস্থির করে তুলবে বলে আমরা আশঙ্কা করছি।
বক্তারা আরও বলেন, এক বা একাধিক নির্বাচন কমিশনার নিয়োগদান করে এনআইডিসহ অন্যান্য তথ্য ভাণ্ডারকে আরও সুসংহত করা যায়। নির্বাচন কমিশনকে একই সময়ে বিদায় না দিয়ে প্রতি দুই বছর অন্তর অন্তর নিয়মতান্ত্রিকভাবে দুইজন করে নিয়োগ ও বিদায় নিলে তথ্য ভাণ্ডারসহ নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে আরও সুশৃঙ্খলতায় আনা যায় এবং মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের সিনেটের মত জাতীয় অভিজ্ঞতা ও ধারাবাহিকতা রক্ষা করা সম্ভব। এতে ঘুণেধরা ও ক্ষয়িষ্ণু সহমর্মিতা রক্ষা করাসহ জাতীয় স্বার্থ ও সংহতি আরও বৃদ্ধি করা সম্ভব হবে।
বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনকে সাংবিধানিক অতি মর্যাদা বিবেচনা করে তাকে কর্মহীন করা ও তার অর্জিত কর্মক্ষমতা কেড়ে নেওয়ার অর্থ হলো- ধর্মীয় গ্রন্থ না পড়ে গিলাপ বেঁধে ওপরে তুলে রাখা। ডালহৌসির নীতির মত এক ডিপার্টমেন্টের অর্জনকে অন্য ডিপার্টমেন্টে নিয়ে গেলে বিভিন্ন বিভাগের ইনোভেশনসহ জাতীয় উন্নয়নের মনোবল ধ্বংস হতে পারে। তাই জাতীয় পরিচয় পত্র পরিষেবা বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের অধীনে রাখাই হবে সঠিক সিদ্ধান্ত।