চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় দর্শন বিভাগের নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ ও বিদায়ী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান চবি এ.কে.খান আইন অনুষদ অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চবি উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) প্রফেসর ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান ও চবি কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোঃ ইকবাল শাহীন খান। চবি দর্শন বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. এফ. এম. এনায়েত হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন উক্ত বিভাগের প্রফেসর ও অনুষ্ঠান উদযাপন কমিটির আহবায়ক প্রফেসর ড. মো. কোরবান আলী।
উপাচার্য বলেন, বর্তমান প্রশাসন দায়িত্ব গ্রহণের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক পরিবেশ উন্নত করতে সক্ষম হয়েছে। ইতিমধ্যেই শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রদত্ত বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করছে। এখন আর ব্যাংকে গিয়ে লাইন ধরতে হয় না। দখলদারিত্বের সংস্কৃতিকে জাদুঘরে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, জ্ঞানের কোন বাউন্ডারি নেই। বিদায়ী শিক্ষার্থীরা নিজেদেরকে শুধুমাত্র চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী না ভেবে সারা বিশ্বের একজন শিক্ষার্থী হিসেবে আন্তর্জাতিক মানের ভেবে জ্ঞান-গবেষণায় নিজেদেরকে সমৃদ্ধ করে কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করতে হবে। উপাচার্য নবীন শিক্ষার্থীদের সময়ের প্রতি নিষ্ঠাবান হয়ে বিভাগের শিক্ষকদের সান্নিধ্যে থেকে পঠন-পাঠনে মনোযোগী হওয়ার আহ্বান জানান। প্রসঙ্গক্রমে উপাচার্য শিক্ষা সংস্কার কমিশন গঠনের মাধ্যমে শিক্ষাক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তনের জন্য অন্তবর্তীকালীন সরকারের কাছে জোর দাবি জানান। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ সমুন্নত রাখতে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্ট সকলের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।
উপ উপাচার্য (একাডেমিক) বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগ একটি ঐতিহ্যবাহী বিভাগ। দর্শন হচ্ছে জ্ঞানের আধার। উপ-উপাচার্য বিভাগের শিক্ষার্থীদেরকে বছরের শুরুতেই একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রদানের জন্য বিভাগের সভাপতিকে অনুরোধ জানান। একইসাথে শিক্ষকদেরকে যথাসময়ে ক্লাসে উপস্থিত থেকে শিক্ষার্থীদের পঠন-পাঠনে, জ্ঞান গবেষণায় সমৃদ্ধ করে যথাসময়ে ক্লাস, পরীক্ষা ও অন্যান্য কার্যক্রম শেষ করে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে গ্রাজুয়েট হিসেবে তৈরি করার আহ্বান জানান। তিনি বিদায়ী শিক্ষার্থীদের অর্জিত জ্ঞান কর্মক্ষেত্রে প্রয়োগের মাধ্যমে পরিবার, সমাজ, দেশ ও জাতির মধ্যে প্রতিফলনের আহ্বান জানান।
চবি দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী সৌরভ জাহান শুভ ও আজমাইন জান্নাতের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিদায়ী শিক্ষার্থীদের পক্ষে আহমদ হাসান ও নবীন শিক্ষার্থীদের পক্ষে শ্রাবণী চৌধুরী অনুভূতি ব্যক্ত করে বক্তব্য রাখেন। বিদায়ী শিক্ষার্থী শরিফ উদ্দিনকে বিভাগের সভাপতি এবং নবীন শিক্ষার্থী শ্রাবণী চৌধুরীকে অনুষ্ঠানের আহবায়ক মানপত্র প্রদান করেন। অনুষ্ঠানে বিদায়ী শিক্ষার্থী ফাল্গুনী ভট্টাচার্য এবং নবীন শিক্ষার্থী তাসনোবা ইসলাম সুষমা মানপত্র পাঠ করেন।
অনুষ্ঠানে বিভাগের পক্ষ থেকে শ্রী চিন্ময় একাডেমিক অ্যাওয়ার্ড, প্রফেসর আফসার আলী অ্যাওয়ার্ড এবং বিভাগীয় অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্তদের উপাচার্য সম্মাননা প্রদান করেন। সর্বশেষ বিভাগের শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় অনুষ্ঠিত হয় এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।