বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান, সাবেক মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল্লাহ আল নোমানের চট্টগ্রামে জানাজা আগামী শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বাদ জুমা জমিয়তুল ফালাহ মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে। পরে বাদ আসর রাউজান গহিরা মাঠে আরেকটি জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন আবদুল্লাহ আল নোমানের একান্ত সচিব নুরুল আজিম হিরু।
এর আগে আজ সকাল ৬টায় রাজধানী ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর।
পরিবারের সদস্যরা জানান, আজ মঙ্গলবার সকালে অসুস্থ হয়ে পড়েন আবদুল্লাহ আল নোমান। তাকে দ্রুত স্কয়ার হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।
দীর্ঘদিন ধরে তিনি বার্ধক্যজনিত নানা সমস্যায় ভুগছিলেন।
এদিকে আবদুল্লাহ আল নোমানের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে। ধানমণ্ডির বাসায় নেতাকর্মীরা আসতে শুরু করেন। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুসহ নেতারা বাসার যান। বাদ আসর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় অফিসের সামনে আবদুল্লাহ আল নোমানের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
আবদুল্লাহ আল নোমান ১৯৯১ সালে চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থেকে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৯১ সালের নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পর মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং ২০০১ সালের নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পর খাদ্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ষাটের দশকের শুরুতে হামিদুর রহমান শিক্ষা কমিশনের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে গিয়ে নোমান যোগ দেন ছাত্র ইউনিয়নে। মেননপন্থী ছাত্র ইউনিয়নের চট্টগ্রাম মহানগরীর সাধারণ সম্পাদক, বৃহত্তর চট্টগ্রামের সভাপতি এবং কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।
