শফিউল আলম, রাউজানঃ চট্টগ্রাম জেলার রাউজান উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা ঘুরছে প্রকাশ্যে । সস্ত্রাসী গ্রুপের সদস্যরা রাউজানের পাহাড়ী এলাকার পাহাড় টিলা কাটা হচ্ছে অবাধে। রাউজানের বিভিন্ন এলাকায় কৃষি জমি থেকে মাটি কেটে ড্রাম ট্রাক করে মাটি বিক্রয় করছে । পাহাড় টিলা কাটা ও কৃষি জমির মাটি দিয়ে তৈয়ার করা হচ্ছে ইটের ভাটায় ইট। ভরাট করা হচ্ছে পুকুর জলাশয় । পাহাড় টিলা কাটা ও কৃষি জমির মাটি কাটার টাকা নিয়ে বিরোধের জের ধরে রাউজানের কদলপুরে একাদিক সংর্ঘষ এর ঘটনা সংগঠিত হয় । যুবদল নেতা আনোয়ার হোসেন বাছুলকে গুলি করে আহত করেন । গত ২৪ জানুয়ারী রাউজানের নোয়াপাড়ায় প্রকাশ্য দিবালোকে ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলমকে গুলি করে হত্যা করে। গত ১৯ ফেব্রুয়ারী বুধবার রাতেই রাউজানের নোয়াপাড়া চৌধুরী হাট এলাকার আহম্মদ হোসেন মেম্বারের বাড়ীতে ২০ থেকে ৩০ জনের সশস্ত্র সন্ত্রাসী হানা দিয়ে সি,এন,জি চালক যুবলীগ কর্মী হাসানকে ঘর থেকে ধরে নিয়ে পিটিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। গত ২১ ফেব্রুয়ারী রাউজানের গশ্চি নয়া ধরের টেক এলাকায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে ডেকোরেটার্স ব্যবসায়ী ছালেহ আহম্মদ গুলিবিদ্ব হয় । গত ১৫ ফেব্রƒযারী শনিবার সকালে প্রকাশ্য দিবালোকে রাউজানের উত্তর গুজরা আদ্যপিট মন্দিরে প্রকাশ্য দিবালোকে সাবেক ছাত্রদল নেতা পেয়ার আহম্মদ চৌধুরী বাবুকে গুলি করে মারাত্বক ভাবে আহত করে সন্ত্রাসীরা । রাউজানের কদলপুর চাদ শাহ এর ওরশের পুর্বে একদল সন্ত্রাসী চাদ শাহ এর মাজারের পাশে উপস্থিত হয়ে প্রকাশ্য দিবালোকে ফাকাঁগুলি বর্ষন করেন । গত কয়েকমাস পুর্বে নোয়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ থেকে অপহরন করে ছাত্রদল নেতা জয়নাল আবেদিন, সাজ্জাদকে চৌধুরী হা ঘাটকুল এলাকায় বেদমভাবে মারধর করে কর্ণফুলী নদীতে জেগে উঠা চরের মধ্যে ফেলে দেয় সন্ত্রাসীরা । চর থেকে এলাকার লোকজন উদ্বার করে তাদেরকে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে গেলে তারা প্রাণে রক্ষা পায় । রাউজানের হলদিয়া ইউনিয়নের জানিপাথর এলাকায় পুলিশ সন্ত্রাসীদের লুট করা মোটর সাইকেল উদ্বার করতে গেলে, সন্ত্রাসীরা পুলিশের উপর হামলা করে চার পুলিশ সন্ত্রাসীদের হামলায় আহত হয় । সন্ত্রাসীরা পুলিশের ব্যবহৃত গাড়ী ভাংচুর করে। ঐ ঘটনার সাথে জড়িত সন্ত্রাসী ফোরকানকে পরে পুলিশ গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। রাউজানের নোয়াপাড়া পথের হাটের কয়েকজন ব্যবসায়ী তাদের নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, নোয়াপাড়া পথের হাট, চৌধুরী হাট, আশে পাশের এলাকায় সন্ত্রাসীরা প্রকশ্যে সশস্ত্র অবস্থায় ঘুরে বেড়াচ্ছে । প্রতিদিন রাতেই গুলির শব্দে সাধারন মানুষের মধ্যে চরম আতাংক বিরাজ করছে । নোয়াপাড়া পথের হাটের ব্যবসায়ীরা সন্দ্ব্যা ঘনিয়ে আসার পুর্বে ব্যবসা প্রতিষ্টান বন্দ্ব করে বাড়ীতে চলে যায় । পথের হাটের ব্যবসা প্রতিষ্টানে সন্ত্রাসীদের ভয়ে ক্রেতারা না আসায় কেনাকাটা কমে গেছে । গত ৫ আগষ্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর আওয়ামী লীগের নেতা কর্মী ও আওয়ামী লীগের লালিত সন্ত্রাসীরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায় । এদের মধ্যে কয়েকজন সন্ত্রাসী বিএনপিতে যোগ দেয় বলে জানা যায় । আওয়ামী লীগ সরকারের শাসন আমলে আর্ত্নগোপনে থাকা সন্ত্রাসীরা রাউজানে এসে তাদের স্ব স্ব এলাকায় আস্তানা গড়ে তুলেছে । এপ্রসঙ্গে রাউজান থানার ওসি বশিরুল আলম ভুইয়া বলেন, নোয়াপাড়ার চৌধুরী হাট এলাকায় হাসান হত্যাকান্ডের পর জাকের ও কামরুল হাসান টিটু কে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে । সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে রাউজানের আইন শৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি ।
এক মাসের মধ্যে নোয়াপাড়া দুটি হত্যাকান্ড, জনজীবনে আতংক

সংবাদটি শেয়ার করুন
একটি মন্তব্য করুন
একটি মন্তব্য করুন