জাতীয় নির্বাচনের আগেই স্থানীয় সরকার নির্বাচনের দাবি জানিয়ে জামায়াত ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, আনুপাতিক হারে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে।
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) ভবনে সিইসিসহ নির্বাচন কমিশনের সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সংক্ষপ্তি সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
গোলাম পরওয়ার বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু করার ব্যাপারে ইসির সাথে আলাপ আলোচনা হয়েছে। খুবই আন্তরিকতা ও সৌহাদ্যপূর্ণ পরিবেশে আলোচনা হয়েছে।
নির্বাচনী প্রক্রিয়ার সাথে জড়িত প্রতিষ্ঠানগুলোর সংস্কার ছাড়া নির্বাচন সম্ভব নয়-এ কথা জানিয়ে তিনি আরও বলেন, সংস্কার ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়; সেজন্য যতটুকু সময় প্রয়োজন সেই সময় দিতে জামায়াত প্রস্তুত। নির্বাচন কমিশনকে আনুপাতিক হারে নির্বাচনের ব্যবস্থা করার কথাও বলা হয়েছে। এছাড়াও আমরা ২৩টি লিখিত দাবি পেশ করেছি। তারমধ্যে গুরুত্বপূর্ণ যেটা, সেটা হলো নির্বাচনী প্রক্রিয়ার সাথে জড়িত প্রতিষ্ঠানগুলোর সংস্কার করা।
গোলাম পরওয়ার বলেন, জনগণ চায় স্থানীয় সরকার সচল হোক, আমরাও জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের কথা বলেছি। এছাড়া আমরা সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনের পক্ষে বলেছি। বাংলাদেশের জন্য এটি প্রয়োজন।
এক প্রশ্নের জবাবে জামায়াত সেক্রেটারি বলেন, ৩০০ আসনে নির্বাচন করার প্রস্তুতি নিচ্ছে জামায়াত। প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়েছে।
জামায়াতের এ নেতা বলেন, এছাড়াও আরও বলেছি রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন আইন বিধি কঠোর, তা বাতিল করা উচিত। সবার রাজনীতি করার অধিকার আছে।
জামায়াতের নিবন্ধন নিয়ে তিনি বলেন, আমাদের দলের নিবন্ধনের বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন আছে, আশা করছি ন্যায়বিচার পাব।
জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ারের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলে ছিলেন দলের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ. এইচ. এম হামিদুর রহমান আযাদ, বাংলাদেশ ল’ ইয়ার্স কাউন্সিলের সভাপতি ও জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য অ্যাডভোকেট মো. জসীম উদ্দীন সরকার, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য অ্যাডভোকেট এস. এম. কামাল উদ্দীন, সুপ্রিম কোর্টের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মো. ইউসুফ আলী।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে কে এম নূরুল হুদার কমিশন দলটির নিবন্ধন বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করে। তৎকালীন ইসি সচিব মো. হেলালুদ্দীন আহমদের ২০১৮ সালের ২৮ অক্টোবর স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ২০০৮ সালের ৪ নভেম্বর দলটিকে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী নিবন্ধন দেয়া হয়েছিল। দলটি নিবন্ধন নম্বর পেয়েছিল ১৪। কিন্তু একটি মামলার রায়ে হাইকোর্ট ২০১৩ সালে দলটির নিবন্ধন প্রক্রিয়া অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করে। তাই নির্বাচন কমিশন দলটির নিবন্ধন বাতিল করে।