তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেছেন, বাংলাদেশে আর আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ নামে কোনো সংগঠনকেই রাজনীতি করতে দেওয়া হবে না। এসব সংগঠনকে আইনের মাধ্যমে কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হবে।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার টিএসসি গ্রাউন্ডে ‘দ্যা হিরোস অব ঢাকা ইউনিভার্সিটি’ অনুষ্ঠানে এই বক্তব্য দেন তিনি। ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম এবং অন্যান্য বক্তারা।
তিনি আরও বলেন, অপারেশন ডেভিল হান্টের মাধ্যমে শুধু আওয়ামী লীগ বা ছাত্রলীগ নয়, সকল রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ থাকলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অনুষ্ঠানে নাহিদ ইসলাম বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস অনেক অন্ধকার সময়ে ভরা, যেখানে শিক্ষার্থীরা নানা সময়ে শোষণ ও নির্যাতনের শিকার হয়েছে। বিশেষ করে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সময়ের ছাত্রলীগের লাঠিয়াল বাহিনী কর্তৃক হামলা, নিপীড়ন ও সহিংসতার বিষয়টি তুলে ধরেন তিনি। তিনি বলেন, এই ধরনের অপরাধী দলগুলোকে আইনের আওতায় আনা হবে এবং তাদের রাজনীতি করার কোনো সুযোগ দেওয়া হবে না।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গৌরবময় ইতিহাস এবং জুলাই গণঅভ্যুত্থানের কথা স্মরণ করেন। তারা বলেন, অতীতে ছাত্র রাজনীতি অনেকটাই কুক্ষিগত হয়ে পড়েছিল, এবং এখন থেকে মুক্তি পেতে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন তারা।
তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম আরো বলেন, আইনগতভাবেই আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগকে বিচারের মুখোমুখি করা হবে এবং তাদের রাজনীতি করার সুযোগ দেওয়া হবে না। তিনি ছাত্র রাজনীতির জন্য ডাকসু (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ) গঠন এবং ছাত্রদের অধিকার রক্ষার কথা উল্লেখ করেন।
এ সময়, জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম অপারেশন ডেভিল হান্ট সম্পর্কে বলেন, ‘যারা দেশের রাজনীতিতে অপরাধমূলক ভূমিকা পালন করবে, তাদের বিরুদ্ধেই এই অভিযান পরিচালিত হবে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে জানান, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বর্তমানে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি গ্রহণ করছে এবং তা খুব শীঘ্রই সম্পন্ন হবে।
অনুষ্ঠানের শেষে, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত শিক্ষার্থীদের সম্মাননা প্রদান করা হয়।