সেলিম উদ্দীন, ঈদগাঁও।
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নের দক্ষিণ পাড়ায় আপন কুমার ও রুপন কুমার নামে দুই প্রবাসী পরিবারের চলাচল পথ বন্ধ করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে স্থানীয় প্রভাবশালীরা। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। দু পরিবারের সদস্যরা চরম আতংক ও দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।
একই এলাকার মৃত মানিক মোহন শর্মার ছেলেরা এ রাস্তা বন্ধ করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে বলে ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন। এ ঘটনায় চকরিয়া থানায় লিখিত এজাহার দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন বলে জানা গেছে।
প্রবাসী আপন কুমার শীল জানান, বিগত ১ দশক পূর্বে মানিক মোহন শর্মা থেকে ২০ কড়া ভিটে জমি চলাচল রাস্তাসহ ক্রয় করেন। তারপর ধার-দেনা করে নির্মাণ করেছেন বসতবাড়ি। জমি ক্রয় ও বাড়ি করার পর বিপাকে পড়েছে দুই প্রবাসী পরিবার। দীর্ঘদিন ধরে
তারা এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করে আসলেও সম্প্রতি সময়ে ঐ রাস্তা সংস্কার করতে গেলে মানিক মোহনের ছেলেরা রাস্তা বন্ধ করার পায়তারা শুরু করে। ভুক্তভোগী ও এলাকাবাসী এতে বাঁধা দিলে এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের ভাড়া করে ওই রাস্তা ও ঘেরাবেড়া ভেঙ্গে দেয়।
ভুক্তভোগী আপন শর্মার মা বাসন্তি বালা শর্মা বলেন, আমার ছেলেদের কষ্টের টাকা দিয়ে জমি ক্রয় করেছি। মানিক মোহনের ছেলেরা মাস্তান ভাড়া করে এনে রাস্তাটি বন্ধ করতে নানা পায়তারা করছে। রাস্তা বন্ধ হলে আমরা গৃহবন্দি হয়ে যাবো,বাড়ি থেকে কোথাও বের হতে পারবোনা।
প্রবাসী রুপন শর্মার স্ত্রী প্রিয়াংকা বালা শীল বলেন, আমরা খুব কষ্টে আছি। প্রতিনিয়ত সন্ত্রাসীরা আমাদের হুমকি দেয়। নির্মাণকৃত বাড়ি রেখে চলে যেতে বলে।
বিগত কদিন ধরে চলাচলের রাস্তাটি বন্ধ করতে অপচেষ্টা চালিয়ে আসছে। আমরা খুব নিরুপায়। স্বামী প্রবাসে থাকে, এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে সন্ত্রাসীরা আমাদের হুমকি প্রদান করে। আমরা ঊর্ধ্বতন প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
বিষয়টি অস্বীকার করে মানিক মোহন শর্মার পুত্র রাশেল শর্মা বলেন, মানিক শর্মা জমি বিক্রি করেছেন সত্য, তারা চলাচল পথ বাদ রেখে, আমাদের পুকুর পাড় দখল করেছে।
খুটাখালী ইউপি চেয়ারম্যান মুহাম্দ আবদুর রহমান বলেন, উভয়ের উপস্থিতিতে চলাচল রাস্তা বন্ধ না করে মানবিক দিক বিবেচনা করার জন্য পক্ষদ্বয়কে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
চকরিয়া থানার ওসি মোঃ মনজুর কাদের ভুইয়া
জানান, এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কারন কারো রাস্তা বন্ধ করা বড় অপরাধ। চলাচলে বিঘ্ন ঘটানো আরও বড় অপরাধ।