মুক্তিযুদ্ধ এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় বিষয়ক উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক ই আজম বীর প্রতীক বলেছেন, লেখকরা হলেন জ্ঞান সৃজনের কারিগর। তারা অবহেলিত থাকলে বইমেলা কোন দিন সমৃদ্ধ হতে পারবে না। তাই বইমেলাকে লেখক বান্ধব করে গড়ে তুলতে হবে।
আজ নগরীর এম. এ. আজিজ স্টেডিয়ামের জিমনেসিয়াম চত্বরে অমর একুশে বইমেলা চট্টগ্রাম-২০২৫ উপলক্ষে “সমাজ বিনির্মাণে জুলাই গণঅভ্যুত্থান প্রেরণা যোগাবে” শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
সিটি মেয়র ডা: শাহাদাত হোসেনে’র সভাপতিত্বে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মুহাম্মদ ইয়াহহিয়া আখতার, দৈনিক পূর্বকোণের সম্পাদক জসিম উদ্দিন চৌধুরী, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সদস্য সচিব জাহিদুল করিম কচি, কিডনি বিশেষজ্ঞ ইমরান বিন ইউনুস, চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন। এসময় নগরীর বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, সাধারণ জনগণ ও অসংখ্য বইপ্রেমী উপস্থিত ছিলেন।
উপদেষ্টা বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থান বিষয় নিয়ে বইমেলায় অনেক বই রয়েছে। আগামী প্রজন্মের কাছে জুলাই অভ্যুত্থানের স্মৃতিকথা তুলে ধরতে এবারের বইমেলার ভ‚মিকা অপরিসীম। তরুন সমাজ বই পড়ে জানতে পারবে, জুলাই বিপ্লবে অপোষহীনভাবে বুকের রক্তের বিনিময়ে নতুন বাংলাদেশ অর্জিত হয়েছে।
উপদেষ্টা আরো বলেন, বই হচ্ছে মানুষের পরম বন্ধু, যা সমগ্র মহাবিশ্বকে ধারণ করতে পারে আর বইমেলা হচ্ছে জ্ঞানের ভাÐার। শিক্ষার্থীদের মাঝে বই পড়ার গুরুত্ব ছড়িয়ে দিতে হবে। লেখক, প্রকাশক, সম্পাদক ও পাঠকের মাঝে সমন্বয় ঘটিয়ে বইমেলাতে জ্ঞানগর্ভ ও তথ্য বহুল বই যেন ছাপানো হয় সে ব্যবস্থা করতে হবে। মেলায় বিভিন্ন স্টলে দেশ বরেণ্যে অসংখ্য লেখকের বই প্রকাশিত হয়েছে।
বইমেলাকে লেখক বান্ধব করে গড়ে তুলতে হবে

সংবাদটি শেয়ার করুন
একটি মন্তব্য করুন
একটি মন্তব্য করুন