চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে অগ্নিকান্ডে ১২ বসতঘরের সর্বস্ব পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ৩০ লক্ষাধিক বলে জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলো।
বুধবার(১১ ডিসেম্বর) রাত ৩টা ২০ মিনিটের সময় উপজেলার চাম্বল ইউনিয়নের পশ্চিম চাম্বল জয়নগর পাড়া ১ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিৎ করেছেন চাম্বল ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান মো. শহিদ উল্লাহ।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের দু’টি টিম পৌঁছালেও ততক্ষণে সব পুড়ে যায় ।
ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের একজন মুহাম্মদ ইসহাক জানান, ‘আমি খবর নিয়ে দেখেছি, স্থানীয় হারুনের পুত্র বাবুলের সাথে পার্শ্ববর্তী করিমের স্ত্রীর সাথে পরকিয়ার সম্পর্ক ছিল। পরকিয়ার জেরে ঝগড়ার একপর্যায়ে বাবুল করিমের ঘরে অগ্নিসংযোগ ঘটায়। এর আগের দিন দুপুরে প্রকাশ্যে অগ্নিকান্ড ঘটানোর চেষ্টা করলে লোকজনের সহায়তায় তাকে নিয়ন্ত্রণ করা হলেও গত রাতে ওই যুবক অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটায়। এতে মুহুর্তেই আগুন অন্যান্য বসতঘরে ছড়িয়ে পড়ে।’
এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থরা হলেন- একই এলাকার মৃত লেদু মিয়ার পুত্র মুহাম্মদ মিয়া, মুহাম্মদ এহছান, মৃত সিরাজ মিয়ার পুত্র মুহাম্মদ কালু, মৃত নবাব আলীর পুত্র মুহাম্মদ জাহাঙ্গির, মুহাম্মদ ইসমাঈল, মুহাম্মদ ইসহাক, মৃত কালু মিয়ার পুত্র মুহাম্মদ করিম, মৃত ইসলাম মিয়ার পুত্র মুহাম্মদ জামাল, মুহাম্মদ কবির, আবদু ছত্তার, আবদু ছবুর, মৃত আবদুল্লাহর পুত্র মুহাম্মদ হারুন।
এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থ ইছমাইলের স্ত্রী সালেহা বেগম আহত হলে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
প্যানেল চেয়ারম্যান শহিদ উল্লাহ বলেন, ‘বাবুলের সাথে স্থানীয় করিমের স্ত্রীর পরকিয়ার বিষয়ে আমাকে জানানো হয়েছে। এ ছেলেটি স্থানীয় আরো কয়েকজন যুবতির সাথে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটিয়ে বলে জানতে পারি। এ সংক্রান্তে একটি সালিশ বিচারের কথা থাকলেও শুনলাম, গতরাতে ওই ছেলে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটিয়েছে।’
বাঁশখালী ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল স্টেশনের ইনচার্জ মিজানুর রহমান বলেন, ‘অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছি। আমাদের আলাদা দু’টি টিম অগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তদন্ত সাপেক্ষে জানা যাবে। অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত নিয়ে সঠিক কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি বলে জানান তিনি।’