শফিউল আলম, রাউজান: চট্টগ্রাম জেলার রাউজান উপজেলা সদর থেকে শুরু হয়ে দোস্ত মোহাম্মদ চৌধুরী সড়কটি রাউজান উপজেলা সদর, বাচামিয়ার দোকান, ডাবুয়া, কেউকদাইর, বাইন্যা হাট, লাঠিছড়ি, হলদিয়া আমির হাট, উত্তর সর্তা, হয়ে ফটিকছড়ি ধর্মপুর হয়ে ফটিকছড়ির আজাদী বাজারের দক্ষিণ পাশে গহিরা হোয়াকো সড়কের সাথে যুক্ত হয়েছে । সড়কটি দিয়ে রাউজান ফটিকছড়ির হাজার হাজার মানুষ ও স্কুল কলেজ, মাদ্রাসার শিক্ষার্থী, শিক্ষক চলাচল করে। এছাড়া ও সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন পণ্যবাহি ট্রাক জীপ চলাচল করে। সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন ফটিকছড়ি মাইজভান্ডার দরবার শারীফে হাজার হাজার মানুষ বাস, জীপ, কার, মাইক্রোবাস, সি, এন, জি অটোরিক্সায় করে যাতায়াত করেন । সড়কের হলদিয়া আমির হাট এলাকায় সর্তা খালের উপর ৯২ সালে নির্মিত স্টৗলের ব্রীজটির নিচে গোড়ালীর মাটি সরে গিয়ে ব্রীজটি মারাত্বক ঝুকিঁপুণ হয়ে পড়েছে ।
ঝুকিঁঁপুণ ব্রীজটি নিচ ও ব্রীজের পাশ থেকে সর্তা খাল থেকে পাওয়ার পাম্প বসিয়ে ব্যাপক হারে বালু উত্তোলন করায় ব্রীজটির গোড়ালীর মাটি সরে গিয়ে ব্রীজটি ঝুিিকপৃণ হয়ে পড়েছে বলে স্থানীয়রা জানান । হলদিয়া আমির হাট এলাকায় সর্তা খালের ঝুকিঁপুণ ব্রীজ দিয়ে জীবনের ঝুকি নিয়ে প্রতিদিন বাস, জীপ, মাইক্রোবাস, কার, সিএনজি অটোরিক্সায় করে হাজার হাজার মানুষ চলাচল করছে । ঝুর্কিপুর্ণ ব্রীজটি দিয়ে ইট ভর্তি ট্রাক, জ্বালানী কাঠভতি ট্রাক, জীপ সহ পণ্যবাহী ট্রাক, জীপ চলাচল করছে । যে কোন সময়ে ব্রীজটি ধসে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশংকা রয়েছে । রাউজানের ২ নং ডাবুয়া ইউনিয়নের বাইন্যার হাট বাজার থেকে শুরু হয়ে ডাবুয়া, পশ্চিম ডাবুয়া, ফটিকছড়ির আবদুল্ল্রাহ পুর হয়ে নোয়াজিশপুর ফতেহ নগর হয়ে নোয়াজিশপুর বাশডুয়া তল বাজারে গহিরা হেয়াকো সড়কের সাথে যুক্ত হয়েছে গণির ঘাট সড়ক । এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন রাউজান ফটিকছড়ি উপজেলার হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করেন। গনির ঘাট সড়কের পশ্চিম ডাবুয়া, গণিপাড়া এলাকার মধ্যবর্তী স্থানে সর্তা খালের উপর ২০০৬ সালে গনির ঘাট ব্রীজ নির্মান করা হয় । গনির ঘাট ব্রীজের নিচে ও ব্রীজের পাশবর্তী এলাকায় সর্তা খালে পাওয়ার পাম্প বসিয়ে ব্যাপক হারে বালু উত্তোলন ও ব্রীজের দুই পাশে জেগে উঠা চরের মাটি গভীর ভাবে খনন করে মাটি বিক্রয় করে বালু খোকো ও মাটি খোকো সিন্ডিকেটের সদস্যরা । এতে গণির ঘাট ব্রীজের নিচে গোড়ালীর মাটি সরে গিয়েূ ব্রীজটি মারাত্বক ঝুকিঁপুর্ণ হয়ে পড়েছে । ঝুকিঁপুর্ণ গনির ঘাট ব্রীজ দিয়ে জীবনের ঝুকি নিয়ে হাজার হাজার মানুষ ও স্কুল কলেজ, মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা চলাচল করছে । রাউজানের ৩ নং চিকদাইর ইউনিয়নের চিকদ্ইার হক বাজার ও চিকদাইর ইউনিয়ন পরিষদের সামনে দিয়ে যাওয়া আকবর শাহ সড়কটি পার্শ্ববর্তী নোয়াজিশপুর ইউনিয়নের ঈশা খা দিঘির পাড় হয়ে গহিরা হেয়াকো সড়কের সাথে যুক্ত হয়েছে । সড়কের চিকদাইর ও নোয়াজিশপুর ইউনিয়নের মধ্যবর্তী স্থানে সর্তা খালের উপর নির্মান করা হয়ূ শাহ ছুফি নুরুল হক শাহ ব্রীজ । ব্রীজটির নিচে ও পাশে সর্তা খাল থেকে পাওয়ার পাম্প বসিয়েূ ব্যাপক হারে বালু উত্তোলন করায় ব্রীজের নিচের গোড়ালীর মাটি সরে গিয়ে ব্রীজটি ঝুকিঁপুর্ণ হয়ে পড়েছে ।
ঝুকিঁপুর্ণ এই ব্রীজ দিয়ে জীবনের ঝুকিঁ নিয়ে এলাকার মানুষ ও স্কুল কলেজ, মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন যাতায়াত করছেন । রাউজানের ৩ নং চিকদাইর ইউনিয়নের দক্ষিন সর্তা এলাকা থেকে শুরু হয়ে নোয়াজিশপুর ইউনিয়নের নতুন হাট বাজারে গহিরা হেয়াকো সড়কের সাথে সংযুক্ত হয়েছে আকবর শাহ সড়ক । এই সড়কের চিকদাইর চুনতী পাড়া ও নোয়াজিশপুর ইউনিয়নের নতুন হাট বাজারের মধ্যবর্তী স্থানে সর্তা খালের উপর নির্মিত হজরত আকবর শাহ সেতু। হজরত আকবর শাহ সেতুর নিচে ও পাশে সর্তার খালে পাওয়ার পাম্প বসিয়ে বালু উত্তোলন করায় ব্রীজের নিচ থেকে গোড়ালীর মাটি সরে ব্রীজটি ঝুকিপুর্ণ হয়ে পড়েছে । ঝুকিঁপুর্ন এই ব্রীজ দিয়ে প্রতিদিন জীবনের ঝুৃকিঁ নিয়ে হাজার হাজার মানুষ চলাচল করছে । রাউজানের চিকদাইর দক্ষিন সর্তা আকবর শাহ সড়ক থেকে গহিরা ইউনিয়নের আতুরনীর দোকান পর্যন্ত রয়েছে সংযোগ সড়ক । এই সড়কের দুই ইউনিয়নের সীমনায় সর্তা খালের উপর নির্মান করা সৃষ্টি মহাজন ব্রীজ । এই ব্রীজের নিচ পাশ থেকে পাওয়ার পাম্প বসিয়ে ব্যাপক হারে বালু উত্তোলন করায় ব্রীজের নিচের গোড়ালীর মাটি সরে ব্রীজটি ঝুকিঁপুর্ণ হয়ে পড়েছে ।
ঝুকিঁপুর্ণ সৃষ্টি মহাজন ব্রীজ দিয়ে জীবনের ঝুকিঁ নিয়ে প্রতিদিন শত শত মানুষ যানবাহনে করে চলাচল করছে । রাউজান পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের পশ্চিম গহিরা ব্রীকফিন্ড এলাকার চট্টগ্রাম রাঙ্গামাটি মহাসড়ক থেকে শুরু হয়ে রাউজান পৌরসভার পশ্চিম গহিরা, হাটহাজারীর মেখল, রাউজানের গহিরা ইউনিয়নের দলই নগর, কোকোয়ালী ঘোনা, নোয়াজিশপুর ইউনিয়নের নদীম পুর, ফতেহ নগর, হয়ে ফটিকছড়ি উপজেলার তকির হাটের পশ্চিম পাশে জাফত নগর, তেলপারাই এলাকার সাথে সংযুক্ত ইছাপুর সড়ক । এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন রাউজান, ফটিকছড়ি, হাটহাজারী তিন উপজেলার হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করেন। ইছাপুর সড়কের রাউজানের পশ্চিম গহিরা ও গহিরা ইউনিয়নের দলই নগর, হাটহাজারীর মেখল এলাকার মধ্যবর্তী স্থানে সর্তা খালের উপর ইছাপুর সেতু নির্মান করা হয় । স্টীল দিয়ে নির্মান করা ইছাপুর সেতুর নিচে ও পাশে সর্তা খাল থেকে পাওয়ার পাম্প বসিয়ে ব্যাপক হারে বালু উত্তোলন করায় সেতুর নিচের পিলারের গোড়ালীর মাটি সরে যায় । সেতুটির পাটাতনে বাসানো স্টীল ও জং ধরে নষ্ট হয়ে গেছে । ঝুকিঁপুর্ণ ইছাপুর সেতু দিয়ে রাউজান, ফটিকছড়ি, হাটহাজারীর হাজার হাজার মানুষ ও শিক্ষার্থীরা জীবনের ঝুকিঁ নিয়ে যাতায়াত করছে প্রতিদিন । এপ্রসঙ্গে রাউজান উপজেলা প্রকৌশলী আবুল কালাম বলেন, ঝুকিপুর্ণ ব্রীজ গুলো পুনঃনির্মান এর জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে ।