শফিউল আলম, রাউজানঃ এককালের প্রভাবশালী জমিদার রামধন ধর ও রামগতি ধরের জমিদারী না থাকলে ও জমিদার বাড়ীটি কালের সাক্ষী হিসাবে রয়েছে। চট্টগ্রাম জেলার রাউজান উপজেলার ডাবুয়া সদরে অবস্থিত জমিদার বামধন ধর এর বাড়ী। জমিদার রামধন ধর ও তাই ভাই রামগতি ধর। রামধন ধরের জমিদারী দেখাশুনা করতো তার ভাই রামগতি ধর। রামধন ধর ও রামগতি ধরের পর জমিদারীর দায়িত্ব অর্পিত হয় রামধন ধরের পুত্র কেশব চন্দ্র ধরের উপর। কেশব চন্দ্র ধর মারা যাওয়ার পুর্বেই পর্যন্ত সমমেয় জমিদারী পরিচালনা করেন। কেশব চন্দ্র ধর জমিদারী প্রথা বিলুপ্তির দুই বৎসর পুর্বে ১৯৫৫ সালের ৬ জুন মারা যায়।
বর্তমানে কেশব চন্দ্র ধরের মেয়ে ছবি ধর সহ জমিদার পরিবারের কয়েকজন সদস্য পরিবার পরিজন নিয়ে জমিদার বাড়ীতে বসবাস করছেন। এই জমিদার বংশের অনান্য লোকজন পরিবার পরিজন নিয়ে চট্টগ্রাম ও ঢাকা শহর, ভারতে বসবাস করে আসছে। জমিদার বাড়ীতে বিশেষ অনুষ্টান হলে তারা সকলেই বাড়ীতে আসেন সকলেই একসাথে মিলিত হয়ে অনুষ্টান করেন। অনুষ্টান শেষে আবারো চট্টগ্রাম, ঢাকা শহর ও ভারতে চলে যায়। কথিত আছে এই জমিদার বাড়ীর সকল আসবাব পত্র রুপা ও স্বর্ণের তৈয়ারী ছিল। ডাবুয়ার জমিদার ধর পরিবার ডাবুয়াার জগ্ন্ননাথ হাট প্রকাশ বাইন্যার হাট, ডাবুয়া জগ্নণাথ মন্দির, শিব মন্দির প্রতিষ্টা করেন। জমিদার বাড়ীর সামনে পেছনে আশে পাশে রয়েছে বড় দুটি দিঘি সহ কয়েকটি পুকুর । রামধন ধর জমিদার ওতার ভাই রামগতি ধর ডাবুয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, চিকদাইর পুলিশ ফাড়ী, রাউজান আর আর, এ সি সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্টার সময়ে জমি দান করেন ও প্রতিষ্টায় অবদান রাখেন। এছাড়া ও ডাবুয়্ াইউনিয়ন পরিষদ ভবন প্রতিষ্টা করেন জমিধার রামধন ধর ও রামামগতি ধর । ডাবুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন জমিদার বংশের বরদা চরন ধর। পরবর্তী এক নাগারে ২৭ বৎসর ডাবুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন জমিদার বংশের সন্তান দৈনিক আজাদীর বার্তা সম্পাদক প্রয়াত সাধন ধর ।
পরবর্তী ডাবুয়া ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার পদে দায়িত্ব পালন করেন জমিদার বংশের উত্তরসুরি প্রয়াত সন্তোষ কুমার ধর, পরাগ ধর তপু। চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড এর চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন জমিদার বংশের উত্তরসুরি ড, রনজিৎ কুমার ধর, দেশের স্বনামধন্য সাংবাদিক বাসুদেব ধর । রাউজানের ডাবুয়ায় জমিদার রামধন ধরের জমিদারী না থাকলে ও জমিদার বাড়ীটি কালের সাক্ষ্য বহন করছে । জমিদার বাড়ীতে রয়েছে জমিদারী ভবন, নর্তকীশালা, শিব মন্দির, জমিদারী কর্যক্রম পরিচালানাকারী বিশাল ভবন। চট্টগ্রাম শহর, দেশের বিভিন্ন এলাকা ও রাউজানের বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রতিনিয়ত জমিদার রামধন ধরের বাড়ী দেখতে বিভিন্ন শ্রেনী ও পেশার মানুষ আসেন। তারা জমিদার বাড়ী ঘুরে দেখে আনন্দ উৎসাহে মেতে উঠে ।