কাপ্তাই (রাঙামাটি) প্রতিনিধি: বন বিভাগ কর্তৃক কাপ্তাই জাতীয় উদ্যান এলাকায় গাছের চারা রোপণ করতে গিয়ে বন কর্মকর্তা, কর্মচারীদের সাথে স্থানীয়দের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে বন বিভাগের কর্মচারী সহ উভয় পক্ষের ৭ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) বেলা প্রায় ১১টায় রাঙামাটি দক্ষিণ বন বিভাগের আওতাধীন কাপ্তাই রেঞ্জের জাতীয় উদ্যানের ব্যাংঙছড়ি এলাকায় এঘটনা ঘটে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ঘটনারদিন কাপ্তাই রেঞ্জের জাতীয় উদ্যানের ব্যাংঙছড়ি এলাকার পরিত্যক্ত খোলা জায়গায় বন বিভাগের লোকজন বিবিধ গাছের চারা রোপন করতে গেলে স্থানীয় অধিবাসীদের বাঁধারমুখে পড়ে। এসময় স্থানীয় বাসিন্দা মো.নুরুল আমিন ও তার পরিবারের লোকজন উক্ত খোলা জায়গাটি তাদের নিজস্ব বলে দাবি করে বন বিভাগকে চারা রোপণে বাঁধা দেয়। এবং বন বিভাগের রোপিত গাছের চারা গুলি তুলে ফেলে দেয়। এনিয়ে এক পর্যায় উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এসময় আত্ম-রক্ষায় বন বিভাগ এক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে। ঘন্টা ব্যাপী ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় বন বিভাগের অফিস সহকারী ওসমান গনি ও বাগান মালি লুৎফর রহমান এবং স্থানীয় বাসিন্দা নুরুল আমিন, তার পরিবারের সদস্য সুফিয়া বেগম, সুরমা বেগম, রিনা পারভিন ও অজ্ঞাত এক কিশোরী সহ ৭ জন আহত হয়েছে বলে উভয় পক্ষের অভিযোগে জানা গেছে।
এদিকে, ঘটনার সংবাদ পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী ও পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে আসে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
কাপ্তাই রেঞ্জ কর্মকর্তা এএসএম মহিউদ্দিন চৌধুরী জানান, কাপ্তাই রেঞ্জের আওতাভুক্ত জাতীয় উদ্যানের পরিত্যক্ত খোলা জায়গায় আমরা গাছের চারা রোপণ করতে গেলে স্থানীয় নুরুল আমিন বন বিভাগের রিজার্ভের জায়গাকে তাদের নিজস্ব জায়গা বলে দাবি করে। তারা বন বিভাগের লাগানো গাছের চারা উপড়ে ফেলে দেয়। এবং মহিলা ও অন্যান্য লোকজন নিয়ে বন বিভাগের কর্মচারীদের উপর হামলা করে। এতে করে বন বিভাগের ২জন কর্মচারী গুরুত্ব আহত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এবং জমির বিরোধ সমাধানের জন্য কাপ্তাই ৫৬ বেংগল উভয় পক্ষকে আগামী রোববার(১০ নভেম্বর) সকাল ১০টায় জমির কাগজপত্র নিয়ে তাদের দপ্তরে যাওয়ার জন্য বলেছে বলে রেঞ্জ কর্মকর্তা জানান। অপরদিকে, জায়গার দাবিদার মো.নুরুল আমিন জানান, ওই জায়গায় দীর্ঘ ৪০ বছর যাবত আমরা বসবাস করে আসছি। সম্প্রতি রাঙামাটি জেলা প্রশাসক উক্ত জায়গা তাদের বলে রায় দিয়েছে। রায়ের কাগজপত্র তাদের হাতে আছে বলে তিনি জানান। গাছের চারা রোপণ না করার জন্য বাঁধা দেওয়ায় বন বিভাগ তাদের উপর হামলা করে তার পরিবারের সদস্যদের আহত করেছে বলেও তিনি অভিযোগ করে।