আকতার মিয়া,মহেশখালী: আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখকে ফাঁকি দিয়ে টেন্ডারনীতি না মেনেই বিএনপি-আওয়ামীলীগ ও দোভাষী মিলে বিশাল একটি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে লিয়োঁজো করে মহেশখালী উপজেলার কালারমারছড়া ইউনিয়নের সোনাপাড়া এসপিএম প্রকল্প থেকে প্রায় কোটি টাকা মূল্যের মালামাল পাচার করে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। ওই সিন্ডিকেটটি। আর এসব মালামালের মধ্যে রয়েছে বিদেশী পাইপ, অস্থায়ী ঘর, টেবিল- চেয়ার, এসি ও মেশিনারিজ পার্টসসহ বিভিন্ন মালামাল।
জানা যায়, উপজেলার কালারমারছড়া এসপিএম প্রকল্পে বিদেশী মালামাল ব্যবহারের পর অবশিষ্ট মালামাল পশ্চিমের গুদামে মজবুত করে রাখেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। ঐ সমস্ত মালামাল তদারকির জন্য রয়েছেন উত্তর বঙ্গের আমিন নামের এক ব্যক্তি। সরকার পতনের পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিরবতার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে সেই প্রকল্পের দোভাষী, গুদাম তদারককারী আমিনসহ স্থানীয় বিএনপি ও আ.লীগের একটি সিন্ডিকেট মিলে প্রায় কোটি টাকার মালামাল প্রকল্প হতে বের করে অবৈধভাবে নিয়ে যাচ্ছে।
এতে প্রকল্পের হয়ে সায় দিচ্ছেন দোভাষী, ফলে কমিশনের টাকায় পকেট ভারি করছেন সুমন নামে ওই দোভাষী। প্রকল্পের টাকা সরাসরি সরকারি কোষাগারে জমার নিয়ম থাকলেও প্রকাশ্যে টেন্ডারবিহীন স্ক্র্যাব ও বিভিন্ন মালামাল বিক্রির টাকা কোথায় যাচ্ছে তার কোনো হদিস পাওয়া যায়নি। তবে নির্ভরযোগ্য একটি সূত্রের দাবি- বিক্রিত স্ক্র্যাব ও মালামালের টাকা দোভাষী, গুদাম তদারককারী ও স্থানীয় আ.লীগ বিএনপি মিলে ভাগবাটোয়ারা করে খেয়ে ফেলছেন। এতে কমিশনের টাকার সিংহভাগই পাচ্ছেন দোভাষী বলে জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এসপিএম প্রকল্পে কর্মরত স্থানীয় এক যুবক। আর এতে বিন্দু পরিমাণও মাথা ব্যাথা নাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের।
জানাগেছে, প্রকল্পের চায়না কোম্পানির নিয়োগকৃত দোভাষী সুমন পছন্দের সিন্ডিকেটকে কমিশনের মাধ্যমে মালামাল বিক্রি করে থাকে। সেই মালে তার কমিশনের টাকা কর্তন করে রেখে দেন সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা। যার কারনে স্থানীয় কেউ মালামাল নিলামে বা দরদামের মাধ্যমে নগদ টাকা দিয়ে নিতে চাইলেও নিতে পারেন না। এ কমিশনের বিষয়ও ওয়াকিবহাল নয় প্রকল্পের সংশ্লিষ্টরা।
অভিযোগ উঠেছে সিন্ডিকেটের সদস্য কালারমারছড়ার বাসিন্দা সিরাজদৌল্লা, শরিফ উদ্দিন, জকরিয়া, ধলাইয়া, আব্দুস ছালাম, বোরহান উদ্দিন, এহাছান, ফজল কাদের, সিরাজ মিয়া, আমান উল্লাহ, জাফর, আবছার ছাড়া কেউ মালামাল নিতে চাইলে হুমকি ধমকি দেন তারা। এমন অভিযোগ করেছেন স্থানীয় এক ব্যবসায়ী। সিন্ডিকেটের অনেকে সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্য হিসাবে এলাকায় পরিচিত। এ সন্ত্রাসী বাহিনীর বাহিরে গিয়ে প্রকল্পে কেউ ব্যবসা করতে চাইলেও স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মুফোফোনে প্রাণনাশের হুমকি ধমকি দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই ব্যবসায়ী।
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলেও মুঠোফোনে কথা বলতে রাজি হননি প্রকল্পের দোভাষী মোহাম্মদ সুমন। তিনি প্রতিবেদককে প্রকল্পে দাওয়াত দিয়ে মুঠোফোনে সংযোগ কেটে দেন।