কোটা আন্দোলনে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদককে আটক করেছে পুলিশ।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) রাতে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ফাহিম হোসাইনকে ক্যাম্পাসে দেখতে পেয়ে মারধর করে পুলিশ বক্সে নিয়ে যান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
ফাহিম হোসাইন নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের চবি শাখার সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপগ্রুপ সিক্সটি নাইনের নেতা। ফাহিম ২০১২-১৩ সেশনের একাউন্টিং বিভাগের শিক্ষার্থী।
জানা যায়, গত ১৫ জুলাই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের সামনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলায় তার সম্পৃক্ততা বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি অস্বীকার করেন।
পরে সেদিনের ভিডিও ফুটেজ ঘেটে দেখা যায়, আটক ছাত্রলীগ নেতা ফাহিমসহ অন্যরা মিছিলে থাকা শিক্ষার্থীদের বেধড়ক মারধর করছে। পরে ভিডিও ফুটেজ দেখে তিনি পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তখন সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাকে মারধর করে আটক করে প্রক্টরকে কল করেন। প্রক্টর তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পুলিশ বক্সে নিয়ে আসার জন্য পরামর্শ দেন। সেখানে পুলিশি জিজ্ঞেসাবাদ শেষে হাটহাজারী থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. তানভীর হায়দার আরিফ বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলার সময় হামলা-মারধরের অভিযোগে একজনকে আটক করে শিক্ষার্থীরা পুলিশে হস্তান্তর করেন। তাকে ১৫ জুলাই হামলার ঘটনায় হওয়া মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।’
হাটহাজারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. হাবিবুর রহমান বলেন, ‘ফাহিম হোসাইনকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নিয়ে আসা হয়েছে। তিনি বর্তমানে মেডিকেলে চিকিৎসাধীন। শিক্ষার্থীদের ওপর মারধরের ঘটনায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হবে।’
২০২২ সালে রেজাউল হক রুবেলকে সভাপতি ও ইকবাল টিপুকে সাধারণ সম্পাদক করে চবি শাখা ছাত্রলীগের ৩৭৬ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। উক্ত কমিটির ফাহিম হোসেন এক নাম্বার সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।