শফিউল আলম, রাউজান ঃ চট্টগ্রাম জেলার রাউজান উপজেলার পাহাড়ী এলাকা এয়াসিন নগর, জারিপাথর, গলাচিপা, বানারস, বৃকবাবানুপুর, বৃন্দ্বাবনপুর, জানিপাথর, পুর্ব ডাবুয়া, উত্তর আইলী খীল, সুড়ঙ্গা, রাধামাধব পুর, হিংগলা, দক্ষিন হিংগলা কলমপতি, সুন্দরপাড়া, রাউজান পৌরসভার দলিলাবাদ, সাপলঙ্গা, পুর্ব রাউজান, রাউজান রাবার বাগান, ঢালার মুখ, রহমত পাড়া, কাজী পাড়া, আইলী খীল, ওয়াহেদের খীল, দাওয়াত খোলা, পশ্চিম রাউজান, রাউজান ইউানিয়নের পুর্ব রাউজান, রাণী পাড়া, শমশের নগর, রশিদও পাড়া, জয়নগর বড়ুয়া পাড়া, কদলপুর ইউনিয়নের শমশের পাড়া, কালকাতর পাড়া, ভোমর পাড়া, দক্ষিন জয় নগর, পাহাড়তলী ইউনিয়নের উনসত্তর পাড়া, মহামুনি, শেখ পাড়া বহল পুর পাহাড়ী এলাকায় প্রতিটি ঘরে ঘরে কৃষকরা গরু লালন পালন করতো । এক এক পরিবারে ২০ থেকে ৫০টি দেশীয় গরু লালন পালন করা হতো ।
প্রতিদিন দুপুরে গরুর মুখে কইর দিয়ে গরুর গলায় গাছের তৈয়ারী ঘন্টা বেধে দিয়ে গরুর পাল নিয়ে রাখাল ও কৃষকরা পাশ্ববর্তী পাহাড়ী এলাকায় চড়ানোর জন্য নিয়ে যেতো। পাহাড়ী এলাকায় গরুর পাল নেওয়ার পর গরুর মুখে লাগানো কইর খুলে পাহাড়ের মধ্যে চড়ে দিতো। সারাদিও পাহাড়ের মধ্যে গরু চড়তো। পাহাড়ী এলাকায় গরু চড়ার সময়ে গরুর গলায় বেধে দেওয়া গাছের তৈয়ারী ঘন্টা বাজতো। দিন শেষে রাখাল ও কৃষকরা পাহাড় থেকে গরু খোজে গরুর মুখে আবারো কইর লাগিয়ে দিয়ে বাড়ীতে গরুর পাল নিয়ে আসতো। এছাড়া ও রাউজান উপজেলার সীমান্তবর্তী পাহাড়ের মধ্যে খামার বাড়ী করে এলাকার লোকজন গরু লালন পালন করতো । বর্তমানে অতিতের গরুর পালের দৃশ্য দেখা যায় খুবই কম। রাখাল বালকও দেখা যায় খুবই কম ।
রাউজানের পাহাড়ী এলাকায় এখনো গুটি কয়েক কৃষক গরু লালন পালন করেন। গরু লালন পালন কারী কৃষক কৃষানীরা প্রতিদিন পাহাড়ী এলাকায় গরুর পাল নিয়ে যেতে দেখা যায়। রাউজান রাবার বাগান এরাকার কৃষানী হাসিনা বেগম বলেন, আমি দশটি দেশীয় গরু লালন পালন করি, প্রতিদিন বাড়ীর পাশে পাহাড়ের মধ্যে দশটি গরুর পাল নিয়ে যায় সন্দ্ব্যার পুর্বে পাহাড় থেকে গরুর পাল নিয়ে বাড়ীতে ফিরে আসি। কৃষাণী হাসিনা বেগম আরো বলেন, দশটি গরুর মধ্যে দুটি গাভী রয়েছে। গাভী থেকে যে দুধ পাওয়া যায় তা বিক্রয় করে যে টাকা পায় তা দিয়ে সংসারের ব্যায়বার বহন করি। প্রতি বৎসর কোরবানীর সময়ে লালন পালন করা গরু বিক্রয় করে দুই থেকে তিন লাখ টাকা পায়। গরু বিক্রয় করা টাকা থেকে কিছু নিজে রেখে অবশিষ্ট টাকা দিয়ে আবারো গরুর বাছুর ক্রয় করে পরর্বতী বৎসরের কোরবানীর ঈদে বিক্রয় করার জন্য লালন পালন করি।