শফিউল আলম, রাউজানঃ চট্টগ্রাম জেলার রাউজান উপজেলার পাহাড়তলী ইউনিয়নের জগৎপুর আশ্রম, রাউজান তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিপরিতে, মহামুনি, বহলপুর, শাহেদুল্ল্রাহ কাজী পাড়, কদলপুর ইউনিয়নের দক্ষিন জয় নগর বড়ুয়া পাড়া, ভোমর পাড়া, কমলার টিলা, দক্ষিন শমশের পাড়া, শমশের পাড়া, কালকাতর পাড়া, ৭নং রাউজান ইউনিয়নের পুর্ব রাউজান, রাণি পাড়া, শমশের নগর, ভোমর ঢালা, জয়নগর বড়ুয়া পাড়া, রশিদর পাড়া ,মুখছড়ি, কাজী পাড়া, চিকনছড়া, রাউজান পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের রাউজান রাবার বাগান, পশ্চিম রাউজান, জঙ্গল রাউজান, আ্ইলী খীল, ওয়াহেদের খীল, দাওয়াত খোলা, ২নং ডাবুয়া ইউনিয়নের মেলুয়া, কলমপতি, সুড়ঙ্গা, নাধামধব পুর, সিংহরিয়া, ১নং হলদিয়া ইউনিয়নের বানারস, বৃকবানপুর, গলাচিপা, বৃন্দ্বাবনপুর, জারিপাথর, এয়াসিন নগর, শিরনী বটতল, হলদিয়া শিরনী বটতল, হলদিয়া রাবার বাগান, ডাবুয়া রাবার বাগান ওয়াহেদ্যা খীল, উত্তর আইলী খীল এলাকা পাহাড় টিলা ছিল পচ্রর পরিমান। গত দেড়যুগ ধরে পতন হওয়া আওয়ামী লীগের নেতা কর্মী পরিচয় দিয়ে এসব এরাকায় পাহাড় টিলা ও কৃষি জমির মাটি এসকেবেটার দিয়ে কেটে নেয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা।
পাহাড় টিলা কাট ও কৃষি জমি থেকে কেটে নেওয়া মাটি ইটের ভাটায় ইট তৈয়ারীর কাজে ও রাউজানের বিবিণ্ন এলাকার কৃষি জমি পুকুর জলাশয় ভরাট করে মাটি খেকো সিন্ডিকেটের সদস্যরা । রাউজানের ৭নং রাউজান ইউনিয়নের পুর্ব রাউজান,রাউজান পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের জঙ্গল রাউজান, আইলী খীল, ডাবুয়া ইউনিয়নের কলমপতি, মেলুয়া, হলদিয়া ইউনিয়নের বৃকবানুপুর, বৃন্দ্বাবনপুর, সিংহরিয়া এলাকায় গড়ে উঠা ইটের ভাটায় ইট তৈয়ারীর কাজে পাহাড় টিলা ও কৃষি জমি থেকে কাটা মাটি দিয়ে ব্যবহার করা হয়েছে । রাউজানের পুর্ব রাউজান রশিদর পাড়া এরাকার কয়েকজন বাসিন্দ্বা অভিযোগ করে বলেন, তাদের মালিকানা কৃষি জমি অল্প পরিমান মাটি কাটার কথা বলে সাবেক সংসদ সদস্য এবি এম ফজলে করিম চৌধুরীর বাগান বাড়ীর কেয়ারটেকার লোকমান জমির খাজনা দেওয়ার কথা বলে নেয় । লোকমান পুর্ব রাউজান এলাকায় ইটের ভাটায় কৃষি জমি থেকে এসকেভেটার দিয়ে গভীর ভাবে মাটি খনন করে কৃষি জমি বিমাল জলাময়ে পরিণত করলে ও জমির মালিককে খাজনার টাকা দেয়নি । জমির মালিকরা খাজনার টাকা চাইলে তাদেরকে শারিরিক নির্য়াতন করতো বলে অভিযোগকারীরা জানান ।
রাউজানের পাহাড়ী এলাকার পাহাড় টিলা ও কৃষি জমি থেকে মাটি খনন করে ড্রামট্রাক ভর্তি করে সড়ক পথে নিয়ে গিয়ে রাউজানের বিভিন্ন এলাকায় শতাধিক পুকুর জলাশয়, কৃষি জমি ভরাট করে নির্মান করেছেন বাণ্যিজিক ও আবাসিক ভবন । পাহাড় টিলা ও কৃষি জমি থেকে মাটি কাটার সময়ে মাঝে মধ্যে পরিবেশ অধিদপ্তর, উপজেলা প্রশাসন অভিযান পরিচালনা করে কয়েকটি ইটের ভাটা বন্দ্ব করে দেওয়া হলে ও পুণরায় বন্দ্ব করে দেওয়া ইটের ভাটার মধ্যে কয়েকটি ইটের ভাটা আবারো চালু করেছেন । সম্প্রতি গত কয়েকদিন পুর্বে রাউজানের পুর্ব রাউজান এলাকায় দুটি ইটের ভাটায় অভিযান চালিয়ে পরিবেশ অধিদপ্তর ২লাখ টাকা জরিমানা আদায় করেন । রাউজানের পাহাড়ী এলাকায় পাহাড় টিলা নির্বিচারে কৃষি জমি নির্বিচারে কাটার ফলে পাহাড় টিলা সাবার হয়ে গেছে। কৃষি জমি থেকে গভীর ভাবে মাটি কেটে নেওয়য় কৃষি জমি বিশাল বিশাল পুকুর জলাশয়ে পরিণত হয়েছে ।
পরিবেশ সংরক্ষন আইন ১৯৯৫- এর ৬(খ) ধারা অনুয়ারী কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্টানের মালিকাধীন বা দখলধীন বা ব্যক্তি মালিকানাধীন পাহাড় টিলা কাটা বা মোচন করতে পারবেনা । অপরিহর্য জাতীয় স্বার্থের প্রয়োজনে অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নিয়ে পাহাড় বা টিলা কাটা যেতে পারে। কিন্ত্র প্রভাবশালী একটি মহল আইন অমান্য করে পাহাড় ও টিলা কেটে প্রকৃতি ধংস করছে। রাউজান উপজেলা সহকারী কমিশনার ভুমি রিদুয়ানুল ইসলাম বলেন. প্রশাসন কাউকে পাহাড় কাটার অনুমতি দেয়নি ।
পাহাড় টিলা কাটা ও কৃষি জমি থেকে মাটি খনন করায় পরিবেশ অধিদপ্তর ও রাউজান উপজেলা প্রশাসন একাধিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্টানকে জরিমানা করা হয়েছে । কেউ পাহাড় কাটলে তার বিরুদ্বে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে ।