শেখ হাসিনা দুর্নীতির জন্য ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট। এখন তাকে পিএইচডি করার জন্য ভারত নিয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
রোববার (২০ অক্টোবর) রাজধানী বাড্ডায় ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় ও সচেতনতা লিফলেট বিতরণ পূর্ব অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই মন্তব্য করেন।
রিজভী বলেন, মনুষ্যত্বের পক্ষে কাজ করাটা প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলের কর্তব্য। স্বাধীনতার পর থেকে যদি বাকশাল না হতো, জাসদের নেতাকর্মীদের যদি খুন করা না হতো, সিরাজ শিকদারকে যদি হত্যা করা না হতো, সকল দল নিষিদ্ধ করে যদি একটি দল করা না হতো, একটানা ১৬ বছর যদি শেখ পরিবারের একক রাজনীতি না থাকতো, তবে বাংলাদেশের রাজনীতি গণতন্ত্রের ওপর ভিত্তি করেই হতো। সকল রাজনৈতিক দল গণতন্ত্র চর্চা করতো। আর গণতন্ত্র চর্চা হলেই রাজনীতি হতো মানব সভ্যতার কল্যাণের।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ঢাকা মহানগরে ডেঙ্গুতে প্রতিদিন চার থেকে পাঁচজন করে লোক মারা যাচ্ছে। এটি যদি যুক্তরাষ্ট্রসহ উন্নত দেশে হতো, তবে জরুরি অবস্থা জারি করা হতো।
শেখ হাসিনাকে লক্ষ্য করে তিনি বলেন, ভারত মনে করছে, আপনি বাংলাদেশে দুর্নীতি করে যে উন্নয়ন করেছেন, সেই উন্নয়ন এখন ভারতে করবেন। ভারতকে পথ দেখাবেন।
আওয়ামী লীগের লোকজনের কাছে অবৈধ অস্ত্র ও টাকা আছে, যা এখনো উদ্ধার করা হয়নি এমন দাবি করে তিনি বলেন, ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের পর আমরা গণতন্ত্রের পথে হাঁটার যে সুযোগ পেয়েছি, সেদিকে বাধা দেওয়ার জন্য ওরা (আওয়ামী লীগ) নানা ধরনের ষড়যন্ত্র চক্রান্ত করে যাচ্ছে। এদের পার্শ্ববর্তীরা ভালোভাবে আপ্যায়ন করে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে দেশবাসী ও নেতাকর্মীদের সজাগ থাকার আহ্বান জানান বিএনপির এই মুখপাত্র।