বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত হয়ে ৭০ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর বিজিসি ট্রাস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র কাউসার মাহমুদের মৃত্যু হয়েছে।
রোববার (১৩ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১০টার ঢাকায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
কাউসার লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলার ভাটরা ইউনিয়নের আব্দুল মোতালেবের ছেলে। আব্দুল মোতালেব চট্টগ্রাম কমার্স কলেজ রোডে দীর্ঘদিন ধরে পরিবার নিয়ে বসবাস করেন।
মোগলটুলীতে তার মুদি দোকান রয়েছে। ছেলে কাউসার মাহমুদ বিজিসি ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটির বিবিএ’র শিক্ষার্থী ছিলেন।
জানাজার বিষয়ে চট্টগ্রামের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মোহাম্মদ রাসেল আহমেদ বলেন, সোমবার দুপুরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে কাউসার মাহমুদের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জানাজার পর কাউসারের মরদেহ চট্টগ্রামে নিয়ে আসা হচ্ছে। সোমবার রাতে এশার নামাজ শেষে নগরের আগ্রাবাদ এলাকার চট্টগ্রাম কমার্স কলেজের মাঠে তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
কাউসার মাহমুদের বাবা আব্দুল মোতালেব বলেন, চট্টগ্রামে জানাজা শেষে আব্দুর রহমান মাতব্বর জামে মসজিদে পাশে কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
গত ৪ আগস্ট নগরের নিউমার্কেট এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে সংঘর্ষে আহত শিক্ষার্থী কাউসার মাহমুদকে আগ্রাবাদ ইসলামী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হওয়ায় একই হাসপাতালের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) স্থানান্তর করা হয়।
গত ২২ সেপ্টেম্বর আহত শিক্ষার্থী কাউছার মাহমুদকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। আইসিইউতে থাকাকালীন তার শারীরিক অবস্থার পুনরায় অবনতি হলে কর্তৃপক্ষ চট্টগ্রাম সেনানিবাসকে বিষয়টি জানায়।
২৮ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অফিসিয়াল পেজে এক পোস্টের মাধ্যমে জানানো হয়, চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থী কাউসার মাহমুদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে আগের দিন তাকে চট্টগ্রাম সিএমএইচে স্থানান্তর করা হয়। পরে চট্টগ্রাম সিএমএইচের সহযোগিতায় ২৪ পদাতিক ডিভিশনের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় আর্মি অ্যাভিয়েশনের হেলিকপ্টারে ২৮ সেপ্টেম্বর ঢাকা সিএমএইচে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে স্থানান্তর করা হয়।
রোববার রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্বাস্থ্যবিষয়ক কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে জুলাই আন্দোলনে অংশ নেন চট্টগ্রাম বিজিসি ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটির চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী কাউসার মাহমুদ। উত্তাল সেই আন্দোলন চলাকালে আহত হয়ে দীর্ঘদিন লড়াই করে ঢাকার সিএমএইচে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কাউসার মাহমুদ শাহাদাতবরণ করেন। দুর্ভাগ্যজনকভাবে কাউসার মাহমুদকে হারাতে হয়েছে