লতা মঙ্গেশকর। তিনি ছিলেন একজন ভারতীয় নেপথ্য সঙ্গীতশিল্পী। তাকে ভারতীয় উপমহাদেশের অন্যতম সেরা ও সবচেয়ে প্রভাব বিস্তারকারী সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে গণ্য করা হয়।
ভারতীয় সঙ্গীত শিল্পে আট দশকের বেশি সময় অবদানের জন্য তিনি “সুরের রাণী”, “ভারতের পাপিয়া”, ও “সহস্রাব্দের কণ্ঠ”-সহ একাধিক সম্মানসূচক উপাধি পেয়েছেন।
লতা মঙ্গেশকর ১৯২৯ সালের ২৮শে সেপ্টেম্বর তৎকালীন ইন্দোর রাজ্যের রাজধানী ইন্দোর (বর্তমান মধ্যপ্রদেশ) জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা পণ্ডিত দীনানাথ মঙ্গেশকর একজন মারাঠি ও কোঙ্কিণী সঙ্গীতজ্ঞ এবং মঞ্চ অভিনেতা ছিলেন। তার মাতা সেবন্তী (পরবর্তী নাম পরিবর্তন করে সুধামতি রাখেন) বোম্বে প্রেসিডেন্সির তালনারের (বর্তমান উত্তর-পশ্চিম মহারাষ্ট্র) একজন গুজরাতি নারী ছিলেন। তিনি দীনানাথের দ্বিতীয় স্ত্রী ছিলেন। তার প্রথম স্ত্রী নর্মদা সেবন্তীর বড়বোন ছিলেন, যিনি মৃত্যুবরণ করেছিলেন।
লতা ২০২২ সালের ৮ জানুয়ারি কোভিডে আক্রান্ত হয়ে মুম্বাইয়ের ব্রীচ ক্যান্ডি হাসপাতালে ভর্তি হন। করোনা মুক্তও হয়েছিলেন। কিন্তু পরবর্তী শারীরিক অসুস্থতায় অবস্থার অবনতি হয়। তিনি ২০২২ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি সকাল ৮:১২ নাগাদ (ইউটিসি+৫:৩০) হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। মুম্বই-এর শিবাজী পার্কে তাঁর অন্ত্যেষ্টি সম্পন্ন হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রীনরেন্দ্র দামোদরদাস মোদী, সচিন তেন্ডুলকর, শাহরুখ খান প্রমুখ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। ভারতের রাষ্ট্রপতি[, প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ বিভিন্ন উল্লেখযোগ্য রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বরা গভীর শোক প্রকাশ করেন এবং সরকারের পক্ষ থেকে দুদিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করা হয়। ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে শিল্পীর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ৭ ফেব্রুয়ারি অর্ধদিবস ছুটি এবং পরবর্তী পনেরো দিন তাঁর গান বাজানোর কথা ঘোষিত হয়।