স্বাভাবিক পরিস্থিতি বিরাজ করছে শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ায়। সাপ্তাহিক ছুটির দিনে আজ শুক্রবারও (২৭ সেপ্টেম্বর) খোলা রয়েছে ১৫০টির বেশি তৈরি পোশাক কারখানা। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে এসব কারখানায় যোগ দিয়েছেন শ্রমিকরা। উৎপাদনের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে কারখানাগুলো চালু রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে তৈরি পোশাক রপ্তানি কারখানা মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ।
এনটিভি অনলাইনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শিল্প পুলিশ আশুলিয়া জোনের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সারওয়ার আলম।
হাজিরা বোনাস বাড়ানোসহ শ্রমিকদের ১৮ দফা দাবি পূরণের যৌথ ঘোষণা পর উৎপাদনে ফিরেছে সিংহভাগ কারখানা। তবে শ্রমিক ছাঁটাই বন্ধ, পর্যালোচনায় থাকা ন্যূনতম মজুরি ২৫ হাজার টাকা নির্ধারণ এবং ১৫ ভাগ ইনক্রিমেন্টের দাবি দ্রুত বাস্তবায়নে গতকাল বৃহস্পতিবার দুটি কারখানায় অসন্তোষ ছিল।
বিজিএমইএয়ের সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম বলেছেন, দেশের সবচেয়ে শ্রমিকঘন শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ায় এক হাজার ৮৬৩টি কারখানায় কাজ করেন ৯ লাখ ৮০ হাজার শ্রমিক। স্বাভাবিক কারণেই এই শিল্পাঞ্চলের দিকে সবার দৃষ্টি থাকে। দাবি-দাওয়া মেনে নেওয়ায় এখন সবাই একযোগে দেশের উন্নয়নে কাজ করবেন।
শ্রমিক আন্দোলনসহ নানা কারণে শিল্পাঞ্চলে আটটি কারখানা এখনও বন্ধ রয়েছে। কাজ নেই মজুরিও নেই ভিত্তিতে এসব কারখানার শ্রমিকরা কোনো বেতন ভাতা পাবেন না। এ ছাড়াও সাধারণ ছুটি ঘোষণায় রয়েছে ৯টি তৈরি পোশাক কারখানা। এই ১৭টি শিল্প কারখানা নিয়ে শিল্পাঞ্চলে বন্ধ রয়েছে ১৮৬টি কারখানা। এসব কারখানার সিংহভাগ দীর্ঘদিন ধরে নানা কারণে বন্ধ রয়েছে বলে জানিয়েছেন শিল্প মালিকরা।
শিল্পাঞ্চল ঘিরে রয়েছে যৌথ বাহিনীর সমন্বয়ে পুলিশ, আর্মড পুলিশ, শিল্প পুলিশ, র্যাব বিজিবি ও সেনা সদস্যদের তৎপরতা। বিশেষ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা নিয়ে মাঠে রয়েছেন সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা।