আন্দোলন-সংগ্রাম অব্যাহত রাখার প্রত্যয় চট্টগ্রামকে সত্যিকার অর্থে বাণিজ্যিক রাজধানীতে রূপ দিতে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে তিনমাস অন্তর হলেও একদিন চট্টগ্রামে অফিস করার প্রস্তাব দিয়েছে বৃহত্তর চট্টগ্রাম উন্নয়ন সংগ্রাম কমিটি
আজ শনিবার (৭ সেপ্টেম্বরÑ নগরের একটি রেস্টুরেন্টে নতুন কমিটি ঘোষণা উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে নেতৃবৃন্দ এ প্রস্তাব রাখেন। সভায় বৃহত্তর চট্টগ্রামের উন্নয়নে চৌদ্দ দফা প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়। যার মধ্যে রয়েছে, কালুরঘাটে নতুন সেতু অগ্রাধিকার দিয়ে নির্মাণ, নগরের বন্দর, পতেঙ্গা,অক্সিজেন, মোহরা-চান্দগাঁও, উত্তর ও দক্ষিণ জেলায় আলাদা সরকারি হাসপাতাল নির্মাণ, আবাসিক এলাকায় গ্যাস সংযোগ প্রদান, জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ, চট্টগ্রামকে যানজট ও আবর্জনামুক্ত শহরে পরিণত করার উদ্যোগ গ্রহণ। সভায় লিখিত বক্তব্যে এসব দাবি উত্থাপন করেন উন্নয়ন সংগ্রাম কমিটির স্থায়ী পরিষদের সভাপতি জসিম উদ্দিন চৌধুরী। এর আগে নবগঠিত পূর্ণাঙ্গ কমিটির সদস্যদের নাম ঘোষণা করেন উন্নয়ন সংগ্রাম কমিটির কার্যনির্বাহী কমিটির মহাসচিব এইচ এম মুজিবুল হক শাকুর। স্বাগত বক্তব্য রখেন নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান এস. এম. নুরুল হক। সভার শুরুতের জুলাই বিপ্লবে নিহত শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করা হয় এবং প্রধান উপদেষ্টাসহ বৃহত্তর চট্টগ্রাম থেকে মনোনীত উপদেষ্টামন্ডলীকে অভিবাদন জানানো হয়।
সভায় উপস্থিত ছিলেন, স্থায়ী পরিষদের সদস্য মেজর জেনারেল (অব) আবদুল মতিন, প্রফেসর ড.নূকম আকবর হোসেন, লাইলা ইব্রাহিম বানু, আবু হায়দার চৌধুরী আমজাদ, মুহাম্মদ রাশেদ, ডাক্তার আকবর হোসেন ভুঁইয়া, মনজুরুল আলম, মাহফুজুল হক শাহ, উপদেষ্টা ইঞ্জিনিয়ার সুভাষ বড়ুয়া, এড মাহফুজুর রহমান খান, প্রফেসর মনজুরুল কিবরিয়া, প্রবাসী উপদেষ্টা ডাক্তার আহমেদ সাইদ, ভাইস চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মুহাম্মদ ইব্রাহিম, কমান্ডার ইফতেখার হাসান, ডাক্তার নাহিদা খানম শিমু, গোলাম হোসেন, আবদুল হালিম দোভাষ, ইঞ্জিনিয়ার আবদুল মুবিন, হাসানুজ্জামান চৌধুরী, অধ্যক্ষ এম ইব্রাহিম আকতারী, সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেল, যুগ্ম মহাসচিব এড ফয়েজুর রহমান চৌধুরী, মুহাম্মদ মঈন উদ্দিন, এস এম সিরাজদৌল্লা, হাফেজ সালামতুল্লাহ, এম ওয়াহেদ মুরাদ, সাজেদুল হক হাসান, সাংগঠনিক সম্পাদক যিকরু হাবিবীল ওয়াহেদ, যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক রকিবুল আমিন, সালাউদ্দিন আহমদ, ফরহাদ আলী, অর্থ সম্পাদক লায়ন মুহাম্মদ নুরুল আলম, শিল্পপতি সৈয়দ নাসির, ইঞ্জিনিয়ার হারুনুর রশিদ, দপ্তর সম্পাদক নোমান উল্লাহ বাহার, প্রকাশনা সম্পাদক কাশেম শাহ, প্রচার সম্পাদক অধ্যাপক বাহার উদ্দিন জুবাইর, যুগ্ম তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, যুগ্ম শিক্ষা ও সাহিত্য সম্পাদক নুরুল আবছার, নুরুল ইসলাম রিপন, পরিকল্পনা সম্পাদক মুহাম্মদ আজম উদ্দিন, যুগ্ম পরিচালনা সম্পাদক এম গোফরান চৌধুরী, যুগ্ম মহিলা সম্পাদক নিশাত বিনতে ইব্রাহিম, শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মোখতার আহমদ, যুগ্ম শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক মুহাম্মদ আনোয়ার মিয়া, যুগ্ম স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডাক্তার মাহবুবুল আলম, যুগ্ম স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডাক্তার হানিফ খান জিলানি, জনসংযোগ সম্পাদক আবু সাদেক ছিটু, যুগ্ম যুব বিষয়ক সম্পাদক হাসান সিকদার, যুগ্ম শ্রম বিষয়ক সম্পাদক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম, যোগাযোগ বিষয়ক সম্পাদক মুহাম্মদ রাসেল, যুগ্ম যোগাযোগ বিষয়ক সম্পাদক রেজাউল করিম বেলাল, রিমন মুহুরী, মুহাম্মদ শাহজাহান, জাহিদা সুলতানা মঈন উদ্দিন হাসান সানজারী, অধ্যাপিকা নাসিমা আকতার রিনা, ইলিয়াস খান ইমু, হাফেজ আনিসুর রহমান, মাওলানা আব্দুন নবী হাক্কানী, আব্দুর রহিম তৈয়্যবী, লোবনা বিনতে আহমদ ও বিপ্লব দাশ প্রমুখ। পরে জসিম উদ্দিন চৌধুরীকে স্থায়ী পরিষদের সভাপতি, এস. এম নুরুল হককে কার্যনির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান ও এইচ এম মুজিবুল হক শাকুরকে মহাসচিব এবং যিকরু হাবিবীল ওয়াহেকে সাংগঠনিক সম্পাদককরে ১০১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়।