শফিউল আলম, রাউজান : প্রচণ্ড গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। গরমে বাইরে কিছুক্ষণ থাকলেই পানির তৃষ্ণা পায়। একেবারে প্রয়োজন না হলে ঘর থেকে বের হচ্ছে না মানুষ। কাজ করতে না পেরে অনেকে স্থান নিচ্ছে গাছতলায়।
এমন আবহাওয়ায় শ্রমজীবী মানুষের ঘরে বসে থাকার সুযোগ নেই। পেটের টানে বাইরে বের হতেই হয়। প্রচণ্ড গরম আর রোদে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষ। কমেছে আয় রোজগার।
প্রচন্ড তাপাদাহের কারনে ১৫ মে বুধবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত সময়ে রাউজানের বিভিন্ন এলাকার হাট বাজার, ষ্টেশন সড়ক অলিগলিতে সাধারন মানুষের চলাচল কমে যায় ।
রিকশাচালকরা জানান, স্বাভাবিক সময়ে দৈনিক পাঁচশ থেকে আটশত টাকা আয় হলেও এখন হচ্ছে দুই থেকে তিনশত টাকা। আগে বাজার থেকে দশ কেজি চাল কিনলেও এখন কিনতে হচ্ছে দুই কেজি।
প্রচণ্ড গরমে হাসপাতালগুলোতে বেড়েছে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। রাউজানের বিভিন্ন এলাকায় বয়স্ক পুরুষ,মহিলা, শিশুরা জ্বর কাশিতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতাল ও চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে ।
পল্লী চিকিৎসক শংকর দে বলেন, গত কয়েক দিনের প্রচন্ড তাপদাহের মধ্যে জ্বর,সর্দি, ডায়রিযা রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিতে আসছে মহিলা পুরুষ সহ শিশুরা । প্রচন্ড গরমের মধ্যে মানুষ ঘর থেকে বের হতে সাহস করছেনা।
রাউজান উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ সুমন ধর প্রচন্ড গরমের মধ্যে বয়স্ক ও শিশুরা ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে এসে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ী ফিরে যাচ্ছেন। কয়েকদিন ধরে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বেশী হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ।
রাউজানের বিভিন্ন এলাকায় ফসলী জমিতে পাকা বোরো ধান কেটে ঘরে তুলতে প্রচন্ড গরমের মধ্যে কৃষক ও কৃষি শ্রমিকেরা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে ।
রাউজান উপজেলার ডাবুয়ার বাসিন্দ্বা ননা মিয়া বলেন, তার ১০টি মহিষ রয়েছে। মহিষগুলো প্রচন্ড গরমের মধ্যে খালী ফসলী জমির খানা খন্দকে জমে থাকা পানির মধ্যে থাকে সারিাদিন। সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত সময়ে মহিষগুলো কোন খাবার খায়না। বিকালের দিকে গরম কমলে মহিষগুলো খালী ফসলী জমিতে চড়ে ঘাষ খায় ।