সাড়ে তিন মাসের বেশি সময় পর কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। সোমবার সন্ধ্যার পর কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি। এ সময় কারাফটকে দলের কয়েকশ’ নেতাকর্মী মুহুর্মুহু করতালি দিয়ে তাকে বরণ করেন। নেতাকর্মীদের হাত তুলে অভিবাদন জানিয়ে মির্জা আব্বাস বলেন, আমাদের গণতন্ত্র ফেরানোর মুক্তির আন্দোলন চলবে। কারাগারে চিকিৎসার অপ্রতুলতার কারণে নেতাকর্মীরা অসুস্থ হয়ে পড়েছে অভিযোগ করে তাদের সুচিকিৎসার দাবি জানান তিনি।
প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার অভিযোগসহ ১১টি মামলায় জামিন পেয়ে সোমবার মুক্তি পেলেন মির্জা আব্বাস। সোমবার সকালে ঢাকা রেলওয়ে থানার মামলায় চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জুলহাস উদ্দিন শুনানি শেষে তাকে জামিন দেন। মির্জা আব্বাসের আইনজীবী মহিউদ্দিন চৌধুরী জানান, সবক’টি মামলায় জামিন হওয়ার পর বিকালে জামিননামা কারাগারে পৌঁছানোর পরেই মির্জা আব্বাস মুক্তি পান।
কারাগারে মুক্তির সময়ে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও মির্জা আব্বাসের সহধর্মিণী আফরোজা আব্বাস, ঢাকা জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক নিপুণ রায় চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। গত বৃহস্পতিবার এই কারাগার থেকে মুক্তি পান দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
গত বছরের ২৮শে অক্টোবর বিএনপি’র মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনার পর গত ৩১শে অক্টোবর রাতে ঢাকার শহীদবাগ থেকে মির্জা আব্বাসকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ। তার বিরুদ্ধে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলাসহ ১১টি মামলা দেয়া হয়।