গাজার খান ইউনুসে ইসরাইলি বাহিনীর বিরুদ্ধে তুমুল যুদ্ধ করছে হামাস। ইসরাইলের হামলার জবাব দিতে প্রতিরোধ যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে হামাসের সদস্যরা। ফলে ওই এলাকা ছেড়ে হাজার হাজার মানুষ ছুটে চলেছেন, অসংখ্য মানুষে গাদাগাদি রাফা এলাকায়। সেখানে এত মানুষ যে, ঘুমানোর মতো জায়গা নেই। তাই লোকজন রাস্তার ওপর ঘুমায়। তাঁবুতে সয়লাব হয়ে যাচ্ছে নর্দমার ময়লা। তার মাঝেই কোনো রকম মাথা গোঁজার চেষ্টা করছেন এসব মানুষ। এমন অবস্থায় ফিলিস্তিনে শরণার্থী বিষয়ক জাতিসংঘের এজেন্সি ইউএনআরডব্লিউএর প্রধান ফিলিপ্পে লাজারিনি বলেছেন, গাজার ২০ লাখ মানুষের ‘লাইফলাইন’ কেটে দেয়া হলো সামষ্টিক শাস্তি। হামাসের রকেট হামলার সঙ্গে ইউএনআরডব্লিউএর কিছু স্টাফ জড়িত থাকার অভিযোগে গাজার শরণার্থীদের জন্য তহবিল পাঠানো স্থগিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র সহ ৯টি দেশ। এর প্রেক্ষিতে লাজারিনি ওই মন্তব্য করেছেন।
এ পর্যন্ত এই যুদ্ধে কমপক্ষে ২৬ হাজার ২৫৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
আহত হয়েছেন ৬৪ হাজার ৭৯৭ জন। এ অবস্থায় গাজায় যুদ্ধ বন্ধের প্রচেষ্টা নিয়ে টেলিফোনে কথা বলেছেন ইরান ও কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। দোহার মধ্যস্থতায় বহুপক্ষীয় আলোচনা একটি ইতিবাচক দিকে অগ্রসর হচ্ছে। তার মধ্যে ইরান ও কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা এই আলোচনা করেছেন। উভয় দেশ নিশ্চিত করেছে যে, শনিবার ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেন আমির আবদুল্লাহিয়ান এবং কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান বিন জসিম আল থানি বিধ্বংসী এই যুদ্ধ বন্ধের আলোচনা করেছেন।
ওদিকে খান ইউনুসের সবচেয়ে বড় হাসপাতাল আল নাসের। ইসরাইলের অব্যাহত দখলদারিত্বের ফলে সেখানে সেবা ভেঙে পড়েছে। কার্যক্রম ভেঙে পড়েছে। ওই হাসপাতালের ফুটেজে দেখা গেছে, রক্তে সয়লাব এর মেঝে। তার ভিতর গাদাগাদি করে অবস্থান করছেন রোগীরা। ঠিকমতো চিকিৎসা পাচ্ছেন না তারা। বেদনায় আর্ত চিৎকার করে পরিবেশ ভারি করে তুলছেন তারা। মেডিকেল বর্জ্য যেখানে সেখানে ছড়িয়ে আছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল কুদরা বলেছেন, নাসের হাসপাতালে এনেসথেসিয়ার অভাব রয়েছে। আইসিইউতে ওষুধের মারাত্মক সঙ্কট। রক্তের বিপজ্জনক সঙ্কট দেখা দিয়েছে। আমাদের কাছে শুধু কিছু বেদনানাশক আছে। যদি চান, তবে গুনে দেখতে পারেন তা। তা দিয়ে মাত্র চার থেকে পাঁচ জন রোগীকে সেবা দেয়া যাবে।