বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মাসুম বলেছেন, ইউনিট দায়িত্বশীলদের সংগঠনের মুখপাত্র হিসেবে ভূমিকা পালন করতে হবে। ইউনিট সভাপতি ও সেক্রেটারিদের দেখেই সাধারণ মানুষ জামায়াতে ইসলামী সম্পর্কে ভালো-মন্দ ধারণা পোষণ করে থাকে। শুক্রবার বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগর দক্ষিণের উদ্যোগে ভার্চ্যুয়াল এক ইউনিট দায়িত্বশীল সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।
এটিএম মাসুম বলেন, সংগঠনের ইউনিট পর্যায়ে অর্থাৎ স্থানীয় কার্যক্রম যতো বেশি শক্তিশালী হবে সামগ্রিকভাবে থানা, মহানগর ও কেন্দ্রীয় সংগঠন ততো সুদৃঢ় হবে। যেখানে যতবেশি বিপর্যয় এসেছে সেখানে দ্বীনের দাওয়াত আরো ব্যাপকতর হয়েছে। ফলে কোন ষড়যন্ত্র ও রাজনৈতিক বাধা দেখে ভয় পেয়ে হতাশ হওয়া বা কাজ কমিয়ে দেয়া ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের জন্য উচিৎ নয়। কুরআন ও হাদিস থেকে আমরা জানতে পারি ইসলামী আন্দোলন প্রতিকূল অবস্থার মধ্যে থেকে সবচেয়ে বেশি মজবুতি অর্জন করেছিল। সুতরাং ইসলামী আন্দোলনের দায়িত্বশীলদের যথাযথ ভূমিকা পালনের মাধ্যমে দ্বীনের বিজয়কে তরান্বিত করতে হবে।
তিনি বলেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ এলাকা দেশের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্থান। এমন একটি এলাকার দায়িত্বশীল হিসেবে প্রত্যেক মহল্লায় ইউনিট পর্যায়ে সংগঠনের দাওয়াত ও ইকামাতে দ্বীনের কথা মানুষের কাছে পৌঁছিয়ে দেয়া আপনাদের নৈতিক দায়িত্ব। এখানে সংগঠন সম্প্রসারণের মাধ্যমে প্রকৃত অর্থে গোটা দেশেই জামায়াতের মূল কার্যক্রমকে সার্বিকভাবে ছড়িয়ে দেয়া সম্ভব। সেই সঙ্গে মনে রাখতে হবে আমরা দেশের সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং এলাকায় অবস্থান করছি।
সমাজের মানুষের কল্যাণ ও সেবার মাধ্যমে জনগণের পাশে থাকতে হবে। অহংকার, রিয়া ও নফস এই জিনিসগুলোর বিষয়ে বিশেষ খেয়াল রাখা জরুরি। এর মাধ্যমে ব্যক্তি থেকে শুরু করে সংগঠনও ক্ষতির সম্মুখিন হয়। এই ব্যধিগুলো যেন ইউনিট সভাপতি ও সেক্রেটারি দায়িত্বশীল ভাইদের ভিতরে না থাকে।
দক্ষিণের আমীর নূরুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি জেনারেল ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণের নায়েবে আমীর আবদুস সবুর ফকির, এডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন, সহকারী সেক্রেটারি মুহা. দেলোয়ার হোসেন, ড. আব্দুল মান্নান প্রমুখ।