একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির কেন্দ্রীয় যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও চট্টগ্রাম জেলার নবনির্বাচিত সভাপতি লেখক-সাংবাদিক শওকত বাঙালি বলেছেন, ১৯৭৫-এর পর থেকে প্রশাসনের রন্ধ্রে রন্ধ্রে পাকিস্তানপন্থীদের অনুপ্রবেশ ঘটেছে। সরকারের প্রশাসনিক নীতি, পররাষ্ট্র নীতি, উন্নয়ন নীতি, শিক্ষা নীতি, সংস্কৃতি নীতি ও নারী নীতিসহ যাবতীয় নীতি নির্ধারণী প্রক্রিয়ায় জামায়াত এবং জামায়াতসুহৃদরা সক্রিয় ছিল, যা বাংলাদেশের সমাজ ও রাজনীতির পাকিস্তানীকরণ প্রক্রিয়াকে প্রাতিষ্ঠানিকতা প্রদান করেছে। শহীদজননী জাহানারা ইমামের আন্দোলন এই প্রক্রিয়াকে চ্যালেঞ্জ করেছে, প্রতিহত করেছে এবং নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, চেতনা ও গৌরব সম্পর্কে সচেতন করেছে। উজ্জীবিত করেছে। অনুপ্রাণিত করেছে।
একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির ৩২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে চট্টগ্রামে কর্মসূচি প্রণয়নকল্পে আয়োজিত প্রস্তুতি সভায় তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
গত ২৩ জানুয়ারি নগরীর মোমিন রোডস্থ বঙ্গবন্ধু ভবনের চট্টলবন্ধু এস.এম জামাল উদ্দিন মিলনায়তনে সংগঠনের চট্টগ্রাম জেলার সহ-সভাপতি, স্বাধীনতা সংগ্রামী মানিক চৌধুরীর সুযোগ্য সন্তান, আওয়ামী লীগ নেতা দীপংকর চৌধুরী কাজলের সভাপতিত্বে ও নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক মো. অলিদ চৌধুরীর সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন-সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট আলহাজ¦ সৈয়দ কামাল উদ্দীন, মো. হাবিবউল্ল্যা চৌধুরী ভাস্কর, সহ-সাধারণ সম্পাদক এ.কে.এম জাবেদুল আলম সুমন, কাজী রাজিশ ইমরান, সুমন চৌধুরী, দেবাশীষ আচার্য্য, আবদুল মান্নান শিমুল, মিথুন মল্লিক, সূচিত্রা গুহ টুম্পা, সাহাব উদ্দিন আওরঙ্গজেব (আঙুর), রুবেল আহমেদ বাবু, সাংগঠনিক সম্পাদক রোকসানা পারভীন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আলী আকবর বাবুল, আবু মো. আরিফ, রাহুল দত্ত, মো. মাহাতাব হোসেন সজিব, মরিয়ম আক্তার মুক্তা, সহ-অর্থ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রক্তিম বিশ^াস, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক শিক্ষিকা সৈয়দা তাহমীনা সুলতানা, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শুভ্রদেব কর, প্রচার ও গণমাধ্যম সম্পাদক সাংবাদিক আহমেদ কুতুব, সহ-প্রচার ও গণমাধ্যম সম্পাদক রুবেল চৌধুরী, সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার অমিত পালিত অংকুর, আইন সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. সাহাব উদ্দিন, শিক্ষা ও পাঠচক্র বিষয়ক সম্পাদক প্রণব দাশ, সহ-শিক্ষা ও পাঠচক্র বিষয়ক সম্পাদক সৈকত দাশ, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অনিন্দ্য মজুমদার অথৈ, সহ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক আকিব জাবেদ, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সুমন সায়েদ সিদ্দিকী, সহ-সমাজ কল্যাণ সম্পাদক দিপু বড়ুয়া, দফতর সম্পাদক অসিত বরণ বিশ^াস, সহ-দফতর সম্পাদক পৌলম দেব, কার্যনির্বাহী সদস্য সাংবাদিক সুরেশ কুমার দাশ, মো. জয়নাল আবেদিন, আরাফাতুল মান্নান ঝিনুক, ইকবাল বাহার চৌধুরী, নাজমুল হক ভূইয়া রাজিব, শওকত খান, জয়নুদ্দীন জয়, আখতার হোসেন, কাজী রোকনুজ্জামান রোকন, রাকিব হাসান, লুৎফর রহমান জুয়েল, শৈবাল দাশ, অনিন্দ্য দেব, ইমন শীল, জিয়াউল হক জিবলু, মো. জামশেদুল ইসলাম, জিন্নাত আরা জয়া চৌধুরী প্রমুখ। এছাড়া, জাগরণের পক্ষে আবৃত্তিশিল্পী অ্যাডভোকেট মিলি চৌধুরী, নাট্যজন সজল চৌধুরী, আলোকচিত্রী কমল দাশ, প্রবাল চৌধুরী মানু, শিক্ষিকা উমেসিং মারমা, প্রভাষক সরিৎ ধর, অ্যাডভোকেট শান্তনু রায়, সামিম হাচান আরাফাত, অরুণ রশ্মি দত্ত প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সভাপতির বক্তব্যে দীপংকর চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জামায়াত-হেফাজতকে কঠোরভাবে মোকাবেলার কথা বললেও আমরা উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি সরকারের নীতি নির্ধারকদের অনেকেই জামায়াত-হেফাজতের সঙ্গে আপোষ ও সমাঝোতার পথ বেছে নিয়েছেন। তাদের সম্পর্কে খোঁজ-খবর নিলেই জানা যাবে জামায়াত-হেফাজতের সঙ্গে তাদের কারও পারিবারিক বা সামাজিক সম্পর্ক কিংবা আর্থিক সম্পর্কের আদ্যপান্ত।
এদিকে, নির্মূল কমিটির ৩২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। ২৪ জানুয়ারি, বুধবার বিকেল ৫টায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের চত্বর থেকে র্যালি বের করা হবে। র্যালি শেষে এস. রহমান হলে “সংবিধানের মর্যাদা প্রতিষ্ঠার নাগরিক আন্দোলন” শীর্ষক আলোচনা সভার পূর্বে শহীদজননী জাহানারা ইমামের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হবে। লেখক-সাংবাদিক শওকত বাঙালি’র সভাপতিত্বে ও মো. অলিদ চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠেয় আলোচনায় অংশ নেবেন মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, রাজনীতিক, শহীদ পরিবারের সদস্য, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।