জাতীয় সংসদে দেশ ও জনগণের স্বার্থে সত্যিকার অর্থে বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করবে জাতীয় পার্টি উল্লেখ করে জাপা চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, সংখ্যা বড় কথা নয়, আমরা আন্তরিকভাবে আমাদের ভূমিকা পালন করতে চাই। আজ বিকালে বিমানযোগে ঢাকা থেকে রংপুরে এসে নগরীর সেনপাড়াস্থ স্কাই ভিউ বাসভবনে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। জিএম কাদের বলেন, গত সংসদেও আমরা বিরোধী দলের ভূমিকায় ছিলাম। আমরা দেশ ও জাতির কল্যাণে সরকারের গঠনমূলক সমালোচনা করে বিরোধী দলের ভূমিকা পালনের চেষ্টা করেছি। নানা অনিয়ম-দুর্নীতি সংসদে তুলে ধরেছি। বর্তমান সংসদে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি প্রধান দু’টি রাজনৈতিক দলের সংসদ সদস্যরাই বেশি নির্বাচিত হয়েছেন। জাতীয় পার্টি এ সংসদে ১১ জন সদস্য নিয়ে রয়েছে। আমরা আশা করছি জাতীয় পার্টি বিরোধী দল হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে।
সংসদে কারা হচ্ছে বিরোধী দল এমন প্রশ্নে জিএম কাদের বলেন, সংসদে সরকার যদি আমাদের কোনো ধরনের অবস্থা নাও দেয় তবুও সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলার মতো একমাত্র দল হিসেবে আমরা থাকবো। সরকারের সমালোচনা করবো, যেগুলো খারাপ কাজ করছে তা তুলে ধরবো। সঠিক পথে চলার জন্য সুপারিশ করে সরকারকে সহযোগিতা করবো।
আমরা যদিও জানি সার্বিকভাবে জাতীয় পার্টিই বিরোধী দল হওয়ার কথা। জাতীয় পার্টির সংসদীয় দলের সিদ্ধান্ত হিসেবে আমাকে বিরোধী দলীয় নেতা, আনিসুল ইসলাম মাহমুদকে উপনেতা ও মুজিবুল হক চুন্নুকে বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ হিসেবে প্রস্তাব করে রেজুলেশন করা হয়েছে। যা আমরা স্পিকারের কাছে পেশ করেছি।
তিনি আরও বলেন, বিরোধী দল হচ্ছি কিনা এখন পর্যন্ত কোনো সিগন্যাল পাইনি। কাল আমাদের সভা হয়েছে। আগামী ৩০শে জানুয়ারি সংসদ অধিবেশনে কারা হচ্ছে বিরোধী দল তা স্পিকার জানাবেন। জাতীয় পার্টিতে ভাঙনের শঙ্কা রয়েছে কিনা এ বিষয়ে জাপা চেয়ারম্যান বলেন, জনপ্রিয়তার কারণে প্রতিষ্ঠার পর থেকে জাতীয় পার্টির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলে আসছে। এ নির্বাচনের পর দলের নেতাদের ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করা হয়েছিল। পরবর্তীতে তারা তাদের ভুল বুঝতে পেরেছে। আমি যেটা করেছি তা দলের নেতাদের আগামী রাজনীতিতে বড় ভূমিকা রাখবে। এর চেয়ে বিকল্প ভালো কিছু পদক্ষেপ আমার চোখে পড়েনি। এখন সবাই বিষয়টি উপলব্ধি করতে পেরেছেন, তাই জাতীয় পার্টিতে ভাঙনের কোনো শঙ্কা নেই।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান ও রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহানগর জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক এসএম ইয়াসির, মহানগর জাতীয় পার্টির সহ-সভাপতি লোকমান হোসেন, জাহিদুল ইসলাম, জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা নুর আলম যাদু মিয়া, ছাত্রসমাজের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আল মামুনসহ স্থানীয় নেতারা।