<strong>মিরসরাই প্রতিনিধি::</strong>
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-১ মিরসরাই আসনে প্রতিদ্বন্ধি ৭ প্রার্থীর মধ্যে ভোটের লড়াই হবে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী মাহবুব উর রহমান রুহেল (নৌকা) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিনের মধ্যে। নির্বাচনের প্রচারণার সময় আওয়ামীলীগ প্রার্থী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর মধ্যে একাধিক হামলার ঘটনা ঘটেছে। মিরসরাইয়ের ১০৬টি কেন্দ্রের সবগুলোকে অধিক গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
মিরসরাই আসনে প্রতিদ্বন্ধিতাকারী প্রার্থীরা হলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনিত প্রার্থী মাহবুব উর রহমান রুহেল (নৌকা), স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. গিয়াস উদ্দিন (ঈগল), বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের (বিএনএফ) প্রার্থী মোহাম্মদ ইউসুফ (টেলিভিশন), জাতীয় পাটির মোহাম্মদ এমদাদ হোসাইন চৌধুরী (লাঙল), বাংলাদেশ মুসলিম লীগের শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী (হাতপাঞ্জা), সুপ্রীম পাটির মোহাম্মদ নুরুল করিম আফছার (একতারা) ও ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের প্রার্থী আব্দুল মন্নান (চেয়ার)।
উপজেলার ১৬ ইউনিয়ন ও দুই পৌরসভায় মোট ভোটার ৩ লাখ ৬৬ হাজার ৫২৫ জন ভোটার রয়েছে। ভোটকেন্দ্র রয়েছে ১০৬টি। বুথ রয়েছে ৭১৭টি।
জানা গেছে, নির্বাচনে জয়-পরাজয়ের জন্য সবচেয়ে বেশী ভোটার থাকা জোরারগঞ্জ, করেরহাট ও ইছাখালী ইউনিয়ন ভোট ব্যাংক নিয়ামক হিসেবে কাজ করবে। প্রতিদ্বন্ধিতাকারী ৭ জন প্রার্থীর মধ্যে ৬জন প্রার্থী এতদিন মাঠের প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করেছেন। শুধুমাত্র বাংলাদেশ মুসলিম লীগ (বিএমএল) এর প্রার্থী শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী কোনরকম প্রচারণায় অংশ নেননি। তবে বাকি ৬ প্রার্থীর মধ্যে আওয়ামী লীগের মাহবুব উর রহমান রুহেল এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. গিয়াস উদ্দিনের মধ্যে প্রতিদ্বন্ধিতা হবে এমনটাই ধারণা করা হচ্ছে। ভোটারদের মধ্যেও এ দুই প্রার্থী নিয়ে আলোচনার কমতি নেই। নৌকা প্রতীক এবং ঈগল প্রতীক নিয়ে ভোটারদের মাঝে রীতিমত আলোচনা চলছে।
মিরসরাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মাহফুজা জেরিন বলেন, ‘আমরা সবকটি ভোট কেন্দ্রকে গুরুত্বপূর্ণ ভাবছি। ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোটারদের ভোট প্রদানের পরিবেশ বজায় রাখতে কাজ করছি। ভোটের দিন পর্যাপ্ত পরিমাণ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য নিয়োজিত থাকবে।’
চট্টগ্রাম-১ মিরসরাই আসনে লড়াই হবে হাড্ডাহাড্ডি

সংবাদটি শেয়ার করুন
একটি মন্তব্য করুন
একটি মন্তব্য করুন