আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী) ও চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী এবং আংশিক চান্দগাঁও) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছিলেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ সালাম ও নগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ। শেষ পর্যন্ত জোট সঙ্গীদের এই দুই আসন ছেড়ে দিতে হয়েছে দলটির।
গতকাল রবিবার ৩০০ আসনের মধ্যে ২৫ আসনে দলের মনোনীত প্রার্থীকে জোটভুক্ত প্রার্থী থাকার কারণে প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের সচিব বরাবর চিঠি দিয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যেখানে চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী)ও চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী- আংশিক চান্দগাঁও) আসনে মনোননয়র প্রত্যাহারের কথা রয়েছে।
চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী) আসনে এবার দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ সালাম। তিনি চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান। তবে এই আসনটি আওয়ামী লীগ এবারও ছেড়ে দিয়েছে জাতীয় পার্টিকে। আর এই আসন থেকে নির্বাচন করবেন টানা তিনবারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য ও জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ।
চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী- আংশিক চান্দগাঁও) আসনে জাতীয় পার্টির হয়ে লড়বেন দলটির ভাইস চেয়ারম্যান সোলায়মান আলম শেঠ। এর আগেও দশম ও একাদশ সংসদ নির্বাচনে তিনি ওই আসন থেকে জাপার প্রার্থী হয়েছিলেন। তবে, খুব সহজেই ‘ভোটযুদ্ধে’ জয়ের স্বাদ জুটবে না এই প্রার্থীর কপালে। কারণ, এই আসনে এবার স্বতন্ত্র হিসেবে ‘ভোটযুদ্ধে’ নেমেছেন নগর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ আবদুচ ছালাম। তিনিও এই আসনের একজন হেভিওয়েট প্রার্থী।