চট্টগ্রাম সাহিত্য পাঠচক্রের উদ্যোগে বিশিষ্ট পুঁথি সংগ্রাহক, গবেষক, লেখক ইসহাক চৌধুরীর ৩য় মৃত্যুবার্ষিকীর স্মরণ সাহিত্য সন্ধ্যা সম্প্রতি চট্টগ্রাম একাডেমী মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনের সহ সভাপতি জসিম উদ্দীন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এতে প্রধান আলোচক ছিলেন কবি আশীষ সেন। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আসিফ ইকবালের পরিচালনায় এতে আলোচনায় অংশনেন রাজনীতিবিদ বীর মুক্তিযোদ্ধা কিরণ লাল আচার্য্য, রাজনীতিবিদ, ভানুরঞ্জণ চক্রবর্তী, দক্ষিণজেলা যুবলীগের সহ সভাপতি মোঃ শহীদুল ইসলাম, যুবলীগনেতা নুরুল হুদা চৌধুরী, আবৃত্তিশিল্পী শাহীন ফেরদৌসী, সোমা মুৎসুদ্দী, শবনম ফেরদৌসী, সঙ্গীতশিল্পী অচিন্ত্য কুমার দাশ, সঙ্গীতা চৌধুরী, লায়ন ইয়াসমিন কবির, কবি সজল দাশ, নাট্যশিল্পী নাসরিন হিরা, সায়েম উদ্দীন, আনিস খোকন, ইমরান ফারুকী, কবি মনজুর আলম রাবেয়া জামান এঞ্জেলা, মোঃ তিতাস, শিহাবুর রহমান, সিকদার, নিলয় দে প্রমুখ। সভায় বক্তারা বলেন পুঁথি সংগ্রহে গবেষণায় ইসহাক চৌধুরী আমৃত্যু কাজ করে গেছেন। পুঁথি বিশারাদ আবদুল করিম সাহিত্য বিশারদ ও তাঁরই মরহুম পিতা পুঁথি সংগ্রাহক আবদুস সাত্তার চৌধুরীর সুযোগ্য উত্তরসুরী হিসেবে ইসহাক চৌধুরী পুঁথি গবেষণার মাধ্যমো বাংলা সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করতে কাজ করে গেছেন। বক্তারা বলেন নিরব নিবৃত্তে এই গুণী মানুষটি বাংলা সাহিত্যের বিলুপ্ত অনেক পুঁথি তিনি সংগ্রহ এবং গবেষণার মাধ্যমে পুঁথি সাহিত্যকে সংরক্ষণে ঐতিহাসিক ভুমিকা রেখেছেন। একজন নিভৃতচারী, প্রচারবিমুখ মানুষ পুঁথি সংগ্রাহক ইসহাক চৌধুরী বাংলা সাহিত্যের সমৃদ্ধির জন্য কাজ করেছেন। তাঁর রেখে যাওয়া পুঁথি সমুহ আমাদেরকে যুগ যুগ সহায়তা দিবে। এছাড়া ইসহাক চৌধুরী প্রাবন্ধিক হিসেবেও অনেক গুরুত্বপুর্ণ লেখা আমাদেরকে উপহার দিয়ে গেছেন। বাংলাদেশের ইতিহাস ও লোকসাহিত্যের ইতিহাস সংরক্ষণে তাঁর অবদান স্মরণীয়।
পুঁথি সংগ্রহে ইসহাক চৌধুরী নিরলসভাবে কাজ করে গেছেন

সংবাদটি শেয়ার করুন
একটি মন্তব্য করুন
একটি মন্তব্য করুন