হামাসের সাথে সাময়িক মানবিক বিরতি শেষ হওয়ার পরপরই ইসরাইলি বাহিনী গাজা উপত্যকায় পুনরায় হামলা শুরু করবে। ইসরাইলের সামরিক প্রধান শনিবার এ ঘোষণা দিয়েছেন।
ইসরাইলি ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশন চিফ অফ জেনারেল স্টাফ হারজি হালেভি বলেন, আমরা অবিলম্বে গাজায় পুরানো কৌশলে ফিরে আসব, হামাসকে নির্মূল করব এবং গাজায় আটক বেশিরভাগ জিম্মিকে মুক্তি দিতে ভয়াবহ চাপ প্রয়োগ করব। আমরা শুক্রবার হামাসের হাতে বন্দী নারী ও শিশুদের প্রথম ব্যাচের প্রত্যাবর্তনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছি। শনিবার দ্বিতীয় ব্যাচ আসে।
চার দিনের মানবিক বিরতির প্রথম দিনে শুক্রবার ইসরাইলি জেল থেকে ৩৯ ফিলিস্তিনি মুক্তি পায়। যুদ্ধরত পক্ষের মধ্যে চুক্তির অধীনে, জিম্মি এবং বন্দীদের চার দিনের মধ্যে বিভিন্ন ব্যাচে মুক্তি দেয়া হবে। এই সময়ে হামলা বন্ধ রাখবে ইসরাইল। ফলে গাজায় মানবিক সহায়তা ও ত্রাণ প্রবেশের সুযোগ পাবে। এরইমধ্যে শত শত ট্রাক প্রবেশ করেছে গাজায়।
যদিও যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পরেও হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। গাজা উপত্যকার দক্ষিণাঞ্চল থেকে উত্তরের ঘরবাড়িতে ফেরার পথে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর গুলি চালায় ইসরাইলি সেনারা।
এতে অন্তত দুজন নিহত হন। আহত হন আরও বেশ কয়েকজন। হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে চারদিনের যুদ্ধবিরত কার্যকর হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর খান ইউনুস ও রাফা শহরের মাঝখানে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। এ সময় শত শত মানুষ নিজেদের ঘরবাড়িতে ফেরার চেষ্টা করছিলেন। আহত ব্যক্তিদের গাজার দেইর আল-বালাহ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ইসরাইলি বাহিনী ফিলিস্তিনিদেরকে ঘরে ফেরার বিষয়ে হুঁশিয়ার করে বলছে, যুদ্ধ শেষ হয়ে যায়নি। ইসরাইলি সেনারা ফিলিস্তিনিদেরকে উত্তর গাজার ঘরবাড়িতে ফেরার চেষ্টা না করার জন্য সতর্ক করছে। তারা উত্তর গাজাকে বিপজ্জনক যুদ্ধ এলাকা বলে উল্লেখ করছে।
গত ৭ই অক্টোবর শুরু হওয়া সংঘাতে এখন পর্যন্ত ইসরাইলি হামলায় প্রায় ১৫ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ৬ হাজার ১৫০ টি শিশু রয়েছে। এছাড়া নারী রয়েছেন চার হাজারের বেশি। অপরদিকে ইসরাইলে হামাসের হামলায় নিহত হয়েছেন ১২০০ জনের বেশি।