কাতারের একটি আদালত আটজন প্রাক্তন ভারতীয় নৌবাহিনীর সদস্যদের মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে ভারতের আপিল গ্রহণ করেছে, যাদেরকে গত মাসে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে সাজা দেওয়া হয়েছিল। ইসরাইলের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ ছিল ভারতীয় নৌসেনার প্রাক্তন ৮ কর্মীর বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগেই তাদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। সূত্র মারফত খবর আপিল খতিয়ে দেখে শুনানির তারিখ নির্ধারণ করবে কাতারের আদালত।
রিপোর্ট অনুযায়ী, গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে কাতারের গোয়েন্দা সংস্থা ২০২২ সালের আগস্টে আটজনকে গ্রেপ্তার করেছিল। কিন্তু কাতারি কর্তৃপক্ষ তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ এখনো প্রকাশ করেনি। তাদের জামিনের আবেদন বেশ কয়েকবার খারিজ করা হয় এবং গত মাসে কাতারের কোর্ট অব ফার্স্ট ইনস্ট্যান্স তাদের বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা করে। তাদের কাছে কনস্যুলার অ্যাক্সেস মঞ্জুর করা হয়েছে, ভারতীয় কর্তৃপক্ষ তাদের মুক্তি নিশ্চিত করার জন্য কাজ করছে। মামলার সংবেদনশীল প্রকৃতির কারণে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক সবাইকে “জল্পনা-কল্পনায় জড়িত” থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে।
গ্রেফতারকৃত ভারতীয় নৌবাহিনীর সিনিয়র সদস্যরা হলেন কমান্ডার পূর্ণেন্দু তিওয়ারি, কমান্ডার সুগুনাকর পাকালা, কমান্ডার অমিত নাগপাল, কমান্ডার সঞ্জীব গুপ্ত, ক্যাপ্টেন নভতেজ সিং গিল, ক্যাপ্টেন বীরেন্দ্র কুমার ভার্মা, ক্যাপ্টেন সৌরভ বশিষ্ট এবং নাবিক রাগেশ গোপাকুমার। সমস্ত অফিসারের ভারতীয় নৌবাহিনীতে ২০ বছর পর্যন্ত একটি বিশিষ্ট পরিষেবা রেকর্ড রয়েছে এবং তারা বাহিনীতে প্রশিক্ষক সহ গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। আটক প্রাক্তন অফিসারদের একজনের বোন মিতু ভার্গব তার ভাইকে ফিরিয়ে আনতে সরকারের কাছে সাহায্য চেয়েছিলেন।
৮ জুন X-এ একটি পোস্টে, তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার আবেদন করেছিলেন।প্রধানমন্ত্রী মোদি এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অমিত শাহ ও রাজনাথ সিং-এর উদ্দেশে মিতু ভার্গব লেখেন -”এই প্রাক্তন নৌবাহিনীর অফিসাররা জাতির গর্ব এবং আবারও আমি আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে হাত জোড় করে অনুরোধ করছি যে এখনই সময় এসেছে যে তাদের সবাইকে আর কোনো বিলম্ব না করে অবিলম্বে যেন ভারতে ফিরিয়ে আনা হয়।”