কঙ্গো প্রজাতন্ত্রের রাজধানী ব্রাজাভিলের একটি স্টেডিয়ামে সেনাবাহিনীতে নিয়োগ চলাকালীন পদদলিত হয়ে কমপক্ষে ৩১জন মারা গেছেন বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। গত সপ্তাহে, কঙ্গো-ব্রাজাভিল নামে পরিচিত মধ্য আফ্রিকান দেশটির সেনাবাহিনী ঘোষণা করেছে, তারা ১৮ থেকে ২৫ বছর বয়সী ১৫০০জন লোককে নিয়োগ করছে। সরকার বলেছে, ব্রাজাভিলের প্রাণকেন্দ্রে মিশেল ডি’অরনানো স্টেডিয়ামে এই “ট্র্যাজেডি” ঘটেছে, যেখানে ১৪ নভেম্বর সেনা নিয়োগ কার্যক্রম শুরু হয়েছিল। তারা সরাসরি পদদলিত হওয়ার কথা উল্লেখ করেনি, তবে ঘটনার কারণগুলি উল্লেখ করে জানিয়েছে তদন্ত চলছে। নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত করা হয়েছে। ৩১ জন নিহত এবং ১৪০ জনেরও বেশি আহতের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এক দিনের শোক ঘোষণা করা হয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে অনুমান।
স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে, সোমবার রাতে যখন পদপিষ্ট হবার ঘটনাটি ঘটে তখনও অনেক লোক স্টেডিয়ামে ছিল। কিছু লোক জোর করে গেট দিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল, অনেকে ধাক্কাধাক্কিতে পদপিষ্ট হয়ে যান। প্রথামিকভাবে সেনা কর্মীরাই জখমদের হাসপাতাল নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করে। এই ঘটনার জন্য কঙ্গোর ভয়ংকর অর্থনৈতিক অবস্থা দায়ী।
গৃহযুদ্ধে দীর্ণ কঙ্গোয় বেকারত্বের হার ৪২ শতাংশ। বিশ্বব্যাংকের মতে, ৫.৮ মিলিয়ন লোকের দেশে ৭৫ শতাংশ কঙ্গোলিজ কর্মশক্তি অনানুষ্ঠানিক খাতে নিযুক্ত হয়, হয় স্ব-নিযুক্ত বা নিম্ন-উৎপাদনশীল চাকরিতে। খনিজ তেলসমৃদ্ধ কঙ্গোর গ্রামীণ এলাকায় ১৫ শতাংশ জনগোষ্ঠীর কাছে এখনও পর্যন্ত বিদ্যুতের আলোই পৌঁছায়নি। এই পরিস্থিতিতে সুস্থায়ী চাকরি পেতে সে দেশের অধিকাংশ যুবকই সেনায় যোগ দেয়ার জন্য উৎসাহী থাকেন।