চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান বলেন, সরকার একদিকে জনগণের সকল অধিকার হরণ করেছে, অন্যদিকে নির্বাচনের পূর্বে জনগণের কাছে আবারও উন্নয়নের ফিরিস্তি নিয়ে এসেছে। আওয়ামীলীগের মুখে উন্নয়নের বুলি থাকলেও আড়ালে দুর্নীতি ও লুটপাটের মহোৎসব। উন্নয়ন হচ্ছে তাদের দুর্নীতির মূল খোড়াক। দুর্নীতি করে তারা দেশের রিজার্ভ শূন্য করে ফেলেছে। দেশের অর্থনীতির এই চরম বিপর্যয় দেশ ও জাতিকে গভীর সংকটে নিপতিত করবে। তাই দেশ ও জনগণের বাঁচাতে হলে এই কর্তৃত্ববাদী সরকারকে ক্ষমতা থেকে বিতাড়িত করা ছাড়া আর কোন বিকল্প নেই। সারাদেশব্যপী আমাদের যে লড়াই, তা শুধুমাত্র জনগণের অধিকার আদায়ের লড়াই। জনগণের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন কে নস্যাৎ করতে সরকার নানামুখী ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। গাড়িতে অগ্নিসংযোগ, ভাংচুর এইসব ধংবসাত্মক কর্মকান্ডে কারা জড়িত তা দিবালোকের মতো স্পষ্ট। এইসব পুরনো কল্পকাহিনী তৈরি করে আন্দোলন বন্ধ করা যাবেনা। আমরা এখন লড়াইয়ের চূড়ান্ত ধাপে আছি। বিজয় অর্জন করেই আমরা ঘরে ফিরে যাবো। অধিকার প্রতিষ্ঠার এ লড়াইয়ে জনগণের বিজয় অনিবার্য।
আজ ১৩ নভেম্বর (সোমবার) ৪র্থ দফায় সর্বাত্মক অবরোধের দ্বিতীয় দিন সকালে চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী সংক্ষিপ্ত সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
মিছিলটি নগরীর লাল দিঘি পাড় জেলা পরিষদ মার্কেট থেকে শুরু করে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক পদক্ষিণ করে সিনেমা প্যালেস মোড় এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়।
মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু বলেন, এদেশের গণতন্ত্রকামী মানুষ এই অবৈধ ভোটচোর সরকারকে পছন্দ করেনা। জনগণের ভোটে নির্বাচিত হতে পারবেনা জেনেই তারা জোর করে ক্ষমতা দখল করেছে। পুরো রাষ্ট্রযন্ত্রকে আজ বিরোধী মত দমনে ব্যবহার করা হচ্ছে। কিন্তু সবকিছুরই একটা শেষ আছে। আওয়ামী স্বৈরাচারী শক্তিকেও বিদায় নিতে হবে। সময়ের ব্যবধানে তারাও ইতিহাসের আস্থাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হবে।
মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি হারুনুর রশিদ, যুগ্ম সম্পাদক জমির উদ্দিন নাহিদ, সিরাজুল ইসলাম ভূঁইয়া, আবু বক্কর রাজু,আনোয়ার হোসেন এরশাদ, সহ-সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন, এম এ হানিফ, দিদার হোসেন, জাকির হোসেন, আব্দুল মান্নান, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ইসহাক খান, শাহজাহান বাদশা, লুৎফর রহমান জুয়েল, আব্দুর রশিদ টিটু,চান্দগাঁও থানা আহবায়ক সাজিদ হাসান রনি, বাকলিয়া থানা আহবায়ক মো. দুলাল, বন্দর থানা আহবায়ক রিয়াজ উদ্দিন রাজু, সদস্য সচিব আরমান শুভ, মো. শামীম,থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক জহুরুল ইসলাম জহির,আইনুল ইসলাম জুয়েল, আমির প্রমুখ।