পুলিশ ও সাংবাদিকের ওপর হামলা করছে। বিএনপির এমন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড আমরা যুগ যুগ ধরে দেখে আসছি। রোববার (১২ নভেম্বর) বিকাল ৪টায় নরসিংদীর মুসলেহ উদ্দিন ভূঁইয়া স্টেডিয়ামে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা (বিএনপি) পুলিশ হাসপাতালে আক্রমণ করে অ্যাম্বুলেন্স পুড়িয়ে দিয়েছে। কেউ কি হাসপাতালে আক্রমণ করে? তারেক জিয়ার চামচারা এসব হামলা করছে। চোরাগোপ্তা হামলা করে সরকার হটানো যায় না। মানুষ যদি সঙ্গে না থাকে তবে আন্দোলন হয় না। বিএনপি একটি সন্ত্রাসী দল, আর জামায়াত হলো যুদ্ধাপরাধী দল। তাদের কথা এ দেশের মানুষ শোনে না। তাদের কিছু লোক আছে তারাই নাচানাচি করে।
বিএনপিকে উদ্দেশ করে তিনি আরও বলেন, নেতা কোথায়? এতিমের টাকা আত্মসাৎ করে খালেদা জিয়া এখন জেলে। আমি দয়া করে তাকে বাসায় থাকার অনুমতি দিয়েছি। আর তার ছেলে তারেক জিয়া ২০০৭ সালে মুচলেকা দিয়েছিল জীবনে আর রাজনীতি করবে না। লন্ডন গিয়ে বসে আছে। এত টাকা পায় কোথায়? জনগণের টাকা আত্মসাৎ করেছে, গ্রেনেড হামলা করে আইভী রহমানসহ নেতাকর্মীদের হত্যা করেছে। অন্ত্র চোরাচালানের সাথে জড়িত, মানি লন্ডারিংয়ের সাথে জড়িত। আমেরিকার থেকে এফবিআইর লোক এসে সাক্ষী দিয়েছে তারেক জিয়ার বিরুদ্ধে, সাক্ষী দিয়েছে খালেদা জিয়ার দুনীতির বিরুদ্ধে। পালিয়ে থাকে লন্ডনে আর এখান থেকে আগুন দেওয়াতে বলে। আরে ব্যাটা তোর যদি সাহস থাকে তো বাংলাদেশে ফিরে আয় আমরা একটু দেখি।
ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি হামলার প্রসঙ্গ টেনে শেখ হাসিনা বলেন, আপনারা দেখেছে ইসরায়েলিরা প্যালেস্টাইনিদের ওপর কীভাবে আক্রমণ করছে। হাসপাতালে, মা বাচ্চাদের নিয়ে গেছে যে মনে করেছে হাসপাতালে কেউ আক্রমণ করবে না। ওই ইসরায়েলের সেই হাসপাতালে বোমা মেরে নারী শিশু হত্যা করেছে। আর খালেদা জিয়া, তারেক জিয়া চ্যালাপ্যালারা অ্যাম্বুলেন্সের মধ্যে গর্ভবতী নারীকে আক্রমণ করে। তাহলে কি এরা ইসরাইলের জারজ সন্তান কিনা সেটাই আমার জিজ্ঞাসা।
সরকার প্রধান এ সময় জনসভায় উপস্থিত লোকজনের প্রতি আগুন সন্ত্রাস রুখে দেওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, কেউ যদি বাসে আগুন দিতে যায় তাকে ধরে সেই আগুনে ফেলে দেবেন। সে বুঝুক আগুনের কত জ্বালা।
মুসলেহ উদ্দিন ভূঁইয়া স্টেডিয়ামে জনসভাটি আয়োজন করেছিল নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগ।