৩১ বছর বয়সে মারা গেলো বিশ্বের সবথেকে বয়স্ক কুকুর ববি। সোমবার গিনেজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ড এক ঘোষণায় এ তথ্য দিয়েছে। রাফেইরো আলেন্তেহানো প্রজাতির এই কুকুরটি তার জীবনের পুরোটাই কাটিয়েছে পর্তুগালের একটি গ্রামে। মৃত্যুর সময় তার বয়স ছিল ৩১ বছর ১৬৫ দিন।
রয়টার্স জানিয়েছে, এর আগে ১৯৩৯ সালে অস্ট্রেলিয়ার একটি কুকুর ২৯ বছর পাঁচ মাস বেঁচে ছিল। দুই বছর আগে সেই রেকর্ড ভাঙে ববি। তার মৃত্যুর খবর সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রথম ঘোষণা করেন পশু চিকিৎসক ক্যারেন বেকার। তিনি এর আগেও ববির সঙ্গে একাধিকবার দেখা করেছেন। তিনি বলেন, ইতিহাসের সবথেকে বেশিদিন বাঁচা স্বত্বেও তাকে যারা ভালোবাসতো তাদের জন্য এই ১১ হাজার ৪৭৮টি দিন যথেষ্ট নয়।
এ বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ববিকে বিশ্বের সবথেকে বয়স্ক কুকুরের স্বীকৃতি দেয়া হয়। ববি যে প্রজাতির কুকুর তা সাধারণত ১২ থেকে ১৪ বছর বাঁচে। তার মালিক লিওনেল কস্তা ববির এত দীর্ঘ জীবন পাওয়ার পেছনে কিছু কারণ উল্লেখ করেন।
এরমধ্যে রয়েছে, গ্রামের নিরিবিলি পরিবেশে থাকা এবং মানুষ যা খায় তাই খাওয়া। এছাড়া কখনও তার গলায় চেইন পরানো হয়নি।
ববির যখন জন্ম হয় তখন তাদের পরিবারে আরও অনেক পশু পালা হতো। কস্তার পিতা সাধারণত কুকুরের নতুন বাচ্চা জন্ম হলেই তাদের মেরে ফেলতো। কিন্তু ববি ভাগ্যক্রমে বেঁচে যায়। ববিকে খুঁজে পান কস্তা ও তার ভাইবোনেরা। তারা ববিকে বাঁচানোর সিদ্ধান্ত নেন। লুকিয়ে লুকিয়ে তারা ববির চোখ ফোটা পর্যন্ত অপেক্ষা করেন। কারণ একবার ববি চোখ খুললে তার বাবা-মা আর তাকে মারতে পারবে না।
সেই ববিই পরে ৩১ বছর বাঁচলো। শেষ বয়সে এসে তার চঞ্চলতা কমে গেলেও নিয়মিত হাঁটাচলা করতো ববি। দিনের বেশিরভাগ সময় সে বিশ্রাম নিয়েই কাটাতো। গত মে মাসে তার ৩১তম জন্মদিনে একশ জনেরও বেশি মানুষ উপস্থিত হয়েছিল।