রাউজানে পুকুর জলাশয় ভরাট করে নোয়াপাড়া পথের হাটে বহুতল বিশিষ্ট অনেক ভবন নির্মান
শফিউল আলম, রাউজান: চট্টগ্রাম জেলার ১৩ নং নোয়াপাড়া ইউনিয়নের নোয়াপড়া পথের হাটে পুকুর , জলাশয়. কৃষি জমি ভরাট করে একের পর এক নির্মান করা হয়েছে বহুতল বিশিষ্ট বাণ্যিজিক ও আবাসিক ভবন । নেয়াপাড়া পথের হাটের মাছ বাজারের পাশে সরকারী খাসঁ জমি থেকে গভীর ভাবে মাটি খনন করে এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তি নাজিম উদ্দিন নির্মান করছে বহুতল বিশিষ্ট ভবন । রাউজানের নোয়াপড়া পথের হাট খায়েজ শপিং মার্কেট, খায়েজ মার্কেট, আমির মার্কেট, সতিশ মার্কেট, ভারতশ^রী প্লাজা, জিএস টাওয়ার, সহ আরো কয়েকটি বাণ্যিজিক ভবন, আবাসিক ভবন নির্মান করা হয় পুকুর. জলাশয়, কৃষি জমি ভরাট করে। নোয়াপাড়া পথের হাট মাছ বাজারের পাশে খায়েজ শপিং সেন্টার সংগ্লন্ন ও আশে পাশে নোয়াপাড়া এলাকার বাসিন্দ্বা পরিচয় দিয়ে রমজান আলী পিতা মৃত বাদশা মিয়া ও রমজান আলীর স্ত্রী আলতাজ খাতুন ৩৩ শতক সরকারী খাস জমি স্থায়ী বন্দোবস্তি নেয়। বন্দোবস্তি মামলা নং ১৩/ ২০১৪-২০১৫। সরকারী খাস জমিতে নোয়াপাড়া এলাকার বাসিন্দ্বা নাজিম উদ্দিন গভীরভাবে মাটি খনন করে বহুতল বিশিষ্ট ভবন নির্মান কাজ করছে। সরকারী খাস জমিতে বহুতল বিশিষ্ট ভবন নির্মানের সংবাদ পেয়ে রাউজান উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবদুস সামাদ শিকদার ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ভবন নির্মান কাজ বন্দ্ব করে দেয় । বহুতল বিশিষ্ট ভবন নির্মান কারী নাজিম উদ্দিনকে ফোন করে জানতে চাইলে, নাজিম উদ্দিন বলেন, আমি কোন সরকারী খাসঁ জমিতে বহুতল বিশিষ্ট নির্মান কাজ করছিনা । যে জমিতে বহুতল বিশিস্ট ভবন নির্মানের কাজ করছি ঐ জমি গত ২০০৭ সালে আমি ক্রয় করেছি । আমার ক্রয় করা মালিকানাধীন জমিতে আমি বহুতল বিশিষ্ট ভবন নির্মান কাজ করছি । এ ব্যাপারে রাউজান নোয়াপাড়া ইউনিয়ন ভুমি অফিসের কর্মকর্তা বলেন, নাজিম উদ্দিন যে জমিতে বহুতল বিশিষ্ট ভবনের কাজ করছে ঐ জমি সরকারী খাস জমি। সরকারী খাস জমি নোয়াপাড়া এলাকার রমজান আলী ও তার স্ত্রী আলতাজ খাতুনের নামে স্থায়ী বন্দোবস্তি দেওয়া হয় । বন্দোবস্তি মামলা নং- ১৩/২০১৪-২০১৫। রমজান আলী তার স্ত্রী আলতাজ খাতুনের বাড়ী নোয়াপাড়া লেখা থাকলে ও রমজান আলী তার স্ত্রী আলতাজ খাতুনের কোন হদিস মিলছেনা নোয়াপাড়া এলাকায় । এ ব্যাপারে রাউজান উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবদুস সামাদ শিকদার বলেন, সরকারী খাস জমিতে অবৈধভাবে গভীরভাবে মাটি খনন করে বহুতল বিশিষ্ট ভাণ্যিজিক ভবন নির্মানের সংবাদ পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে নির্মান কাজ বন্দ্ব রাখার নির্দেশ দিয়েছি । বহুতল বিশিষ্ট ভবন নির্মান কাজ করছেন ঐ ব্যক্তি কিভাবে সরকারী খাসঁ জমিতে ভবন নির্মান করছেন ঐ জমির মালিকানা সর্ম্পকিত দলিলপত্র নিয়ে আসার জন্য নির্দেশ দিলেও নাজিম উদ্দিন তার জমির মালিকানা কোন কাগজ নিয়ে আসেনি । এ ব্যাপারে আইনগতঃ ব্যবস্থা গ্রহনের প্রক্রিয় চলছে ।
পোল্টি ও ডেইরী ফার্মের বিষাক্ত বজ্য পড়ছে হালদায় মা মাছের প্রজনন হুমকির মুখে
রাউজানে খাল নদীর তীরে গড়ে উঠা পোল্টি ফার্ম ও ডেইরী ফার্মের বজ্য খাল ও নদীর পানি দিয়ে হালদা নদীতে পড়ছে । বিষাক্ত বজ্য হালদা নদীর পানি দুষন হয়ে মা মাছের প্রজনন হুমকির মুখে পড়েছে । চট্টগ্রাম জেলার রাউজান উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত খালগুলোর পানি হালদা নদীর সাথে সংযুক্ত খাল দিয়ে হালদা নদীতে প্রবেশ করে। খাল ও নদীর পাড়ে গড়ে উঠা পোল্টি ফার্ম ও ডেইরী ফার্ম এর বজ্য খালের মধ্যে ফেলছে অবাধে। পোল্টি ও ডেইরী ফার্মের বজ্য প্রতিনিয়ত হালদা নদীর পানির সাথে মিশ্রিত হচ্ছে। পোল্টি ও ডেইরী ফার্মের বজ্য হালদা নদীর পানির সাথে মিশ্রিত হয়ে হালদা নদীর পানি দুষন হচ্ছে। বিষাক্ত পোল্টি ফার্ম ও ডেইরী ফার্মের বজ্য হালদা নদীর পানি দুষন হওয়ায় হালদা নদীর মা মাছের প্রজনন হুমকির মুখে পড়েছে । হাটহাজারীর মদুনা ঘাট ও নগরীর মোহরা এলাকা থেকে চট্টগ্রাম ওয়াসা হালদা নদী থেকে প্রতিদিন বিপুল পরিমাণ পানি উত্তোলন করে চট্টগ্রাম নগরীতে পানি সরবরাহ করছে । হালদা নদীর পানি চট্টগ্রাম নগরীর বাসিন্দ্বারা ব্যবহার করে আসছে । পোল্টি ফার্মের বিষাক্ত বজ্য ডেইরী ফার্মের বিষাক্ত বজ্য খাল ও নদী দিয়ে প্রতিনিয়ত হালদা নদীর পানিতে মিশে হালদার পানি দুষন করলে ও সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ নিরবতা পালন করে আসছে । এব্যাপারে চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক কলেজের জীব বিজ্ঞান বিভাগের প্রধান হালদা গবেষক ড. শফিকুল ইসলাম বলেন, পোল্টি ও ডেইরী ফার্মের বিষাক্ত বজ্য হালদা নদীর পানি দুষন হয়ে হালদা নদীর মা মাছের প্রজনন হুমকির মুখে পড়েছে । হালদা নদীর পানি দুষন মুক্ত করতে হলে হালদা নদীতে বিষাক্ত বজ্য আসা বন্দ্ব করতে হবে।