চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক যুগ্মসম্পাদক, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সাবেক সদস্য আলহাজ্ব ইউনুস গনি চৌধুরী বলেছেন,ডিজিটেল দেশ বাস্তবায়নে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে বাংলাদেশ অগ্রসর হচ্ছে ।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার মূল চাবিকাঠি হবে আজকের এ ছেলে মেয়েরা । তরুণ প্রজন্ম এখন ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার স্বপ্ন দেখছে।এদের কাজে লাগাতে হবে।
তিনি বলেন,প্রধানমন্ত্রী ২০০৮ সালের সাধারণ নির্বাচনে নির্বাচনী অঙ্গীকারে রূপকল্প-২০২১ ঘোষণা করেছিল, যার মূল লক্ষ্য ছিল ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বাংলাদেশি জনগণের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন নিশ্চিত করা।আজ তা বাস্তাবায়ন হতে চলেছে তার নেতৃত্বে।
তিনি আজ ১১ সেপ্টন্বর সোমবার চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশন রেজি নং-১০২৮/৯৮ চট্টগ্রামের কৃতী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্টানে প্রধানঅতিথি ভাষনে এ কথা বলেন।বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশন চট্টগ্রামের সভাপতি কবি সাজিদ ইকবালের সভাপতিত্বে সংবর্ধনা অনুষ্টানে প্রধান বক্ত হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশন রেজি নং-১০২৮/৯৮ কেন্দ্রীয় মহাসচিব মোহাম্মদ মিজানুর রহমান সরকার।
সংবর্ধনা অনুষ্টান পরিচালনা করেন বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশন চট্টগ্রামের মহাসচিব কাজী সরোয়ার খান মন্জু।
উদ্বোধন করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইলিয়াস, সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মর্ডান টিচার ট্রেনিং কলেজ চট্টগ্রামের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অধ্যাপক হামিদুল্লাহ কুতুবী, বাংলাদেশ কিন্ডারগার্ন্টেন এসোসিয়েশন চট্টগ্রাম বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাংবাদিক হাসান মুকুল, কিন্ডারগার্টেন অ্যাসোসিয়েশনের তত্ত্ব ও যোগাযোগ বিষয়ক সম্পাদক এইচ এম আসাদুজ্জামান রিপন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক মোঃ আবুল খায়ের, কেন্দ্রীয় সহকারী শিক্ষা সম্পাদক মোশারেফ হোসেন, অনলাইন সিস্টেম অ্যানালিস্ট মো.ফজলে রাব্বি খন্দকার, বিশিষ্ট শিক্ষা নুরাগী মোঃ সালাউদ্দিন কাদের লাভলু, সংগঠনের উপদেষ্টা নারী নেত্রী মিসেস আমেনা সুলতানা, উপদেষ্টা নারী নেত্রী মিসেস যেচমা বেগম।
বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কিন্ডার গার্ডেন এসোসিয়েশন চট্টগ্রামের সহ-সভাপতি জাকারিয়া সিরাজ ,কাজী মোঃ আবু বক্কর সিদ্দিকী চৌধুরী, টিপু কান্তি দাস, যুগ্ম সম্পাদক মোঃ ফজলুর রহমান, অর্থ সম্পাদক মোঃ নজরুল ইসলাম, শিক্ষা সম্পাদক মালেকা আনোয়ার মায়া, তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মোঃ ফারুকুল ইসলাম, ধর্ম সম্পাদক এইচ এম মনিরুল ইসলাম, ক্রীড়া সম্পাদক মোঃ শফিক উদ্দিন, মহিলা ও শিশু বিষয়ক সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদৌস রক্সি, সহ শিক্ষা সম্পাদক এম নুরুল আমিন, সহ প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আরিফ জামসেদ,নির্বাহী সদস্য কমল জ্যোতি বড়ুয়া প্রমুখ।
প্রধান অতিথি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ‘আগামীর বাংলাদেশ হবে স্মার্ট বাংলাদেশ। এ দেশ গড়তে শিক্ষক এবং মারা বড় ধরনের ভূমিকা রাখতে পারে। শিক্ষকদের প্রচেষ্টার ফলে একটি শিক্ষার্থী স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে অবদান রাখতে পারবে। দক্ষ ও প্রশিক্ষিত জনবলের বিকল্প নেই। তাই সামনের দিনে প্রযুক্তিগত শিক্ষার ওপর আমাদের প্রশিক্ষিত জনগোষ্ঠী গড়ে তোলায় গুরুত্ব দিতে হবে এবং সে অনুযায়ী কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও নীতি-আদর্শ ধরে রেখে কাজ করেছি। এরই ফলস্বরূপ দেশ আজ এগিয়ে যাচ্ছে। উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ ঘটেছে আমাদের। এ ধারা অব্যাহত রাখতে হবে। জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়নে দেশরত্ন শেখ হাসিনার অবিচল নেতৃত্বে সবাইকে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
প্রধান বক্তা বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় মহাসচিব মোহাম্মদ মিজানুর রহমান সরকার বলেন , শিক্ষাকে এগিয়ে নিতে কিন্ডারগার্টেন স্কুলগুলোর ভূমিকা অনেক বেশি। প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় কিন্ডারগার্টেন এর স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা অনেক বেশি এগিয়ে থাকে।
সরকার যে নীতিমালা করতে যাচ্ছে আমরা সাধুবাদ জানাই। কিন্তু সব শর্ত মানা আমাদের পক্ষে সম্ভব নাও হতে পারে। স্কুলের পরিচালক এবং শিক্ষকরা সরকারের নীতিমালা পূরণ করে অবশ্যই জমা দেবেন।আমরা যা যা সম্ভব আপনাদের সহযোগিতা করে যাব। নীতিমালা আমাদের বাইরে গেলে প্রয়োজনে আমরা রাজপথে নামবো।
তিনি বলেন, চট্টগ্রামের মত ভিত্তি পরীক্ষা সারা বাংলাদেশে করেছি। আগামীতে আরও ব্যাপকভাবে বৃত্তির আয়োজন করার জন্য প্রস্তুত। এইজন্য তিনি স্কুল শিক্ষকদের সহযোগিতা করার জন্য আহ্বান জানান।
উদ্বোধক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ ইলিয়াস বলেন, মুক্তিযুদ্ধদের স্বপ্ন ছিল এদেশে উৎপাদ মুখি শিক্ষা ব্যবস্থা চালু হবে। কিন্তু আমাদের স্বপ্ন স্বপ্নই রয়ে গেল। যতদিন উৎপাদন মুখী শিক্ষা ব্যবস্থা চালু হবে না ততদিন আমরা উন্নতির লাভ করলেও পিছিয়ে থাকব অন্য দেশের তুলানায়।তিনি বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।