সারা জুরী (৪০)। একজন শিক্ষিকা। তার পেশা ছিল কোমলমতি শিশুদের উন্নত শিক্ষা দিয়ে মানুষ করে গড়ে তোলা। কিন্তু তিনি সেক্ষেত্রে অন্যপন্থা অবলম্বন করেছেন। রগরগে নগ্ন ছবি তুলে তা প্রকাশ করেছেন। তার এসব ছবি প্রকাশ হওয়ার পর স্কুলে শিক্ষকতার চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। স্বীকার করেছেন এরপর তিনি সংসারেও সফল হতে পারেননি। এ খবর দিয়েছে পশ্চিমা একটি ট্যাবলয়েড পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ। এতে বলা হয়, স্কুল এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে চালিত স্টারবেইজে তিনি শিশুদের বিজ্ঞান পড়াতেন। কিন্তু তাতে যে আয় হয়, তাতে সংসার চালাতে হিমশিম খান।
তাই ইন্ডিয়ানাভিত্তিক এই নারী নগ্ন ছবি তুলে অর্থের বিনিময়ে তা একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে থাকেন। তা থেকে সাবস্ক্রিপশন হিসেবে ভাল অর্থ পান। ফলে এ খাতে তিনি নতুন ক্যারিয়ার গড়ে তোলেন। কিন্তু সেই খবর প্রকাশ হয়ে পড়ে। স্থানীয় একজন ব্লগার তার সব তথ্য ফাঁস করে দেন। স্কুল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি জানার পর তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করে। ফলে সারা জুরীকে নিয়ে বিশ্বের বেশির ভাগ মিডিয়ায় সংবাদ শিরোনাম করা হয়। এতে তিনি অন্য এক পরিচয় পান। বিভিন্ন মিডিয়া থেকে আসে সাক্ষাৎকার ও পডকাস্টে উপস্থিত হওয়ার আমন্ত্রণ। আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় উপস্থিতি সত্ত্বেও মন ভাল নেই তার। সম্প্রতি তিনি স্বীকার করেছেন মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তার সংসার ভেঙে গেছে। আরও স্বীকার করেন এমন নগ্ন ছবি বিক্রি করে হয়তো বেঁচে থাকা যায়। তা সত্ত্বেও আর্থিকভাবে লড়াই করতেই হয়। সম্প্রতি তিনি ইয়াহুকে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। তাতে বলেছেন, প্রচুর মিডিয়ার আকর্ষণ আমার জীবনকে বরবাদ করে দিয়েছে। তা থেকে আসলে আমি প্রকৃতপক্ষে তেমন কোনো সুবিধা পাইনি। আপনারা হয়তো এমন সব রিপোর্ট পড়েছেন যে, নারীরা সম্পদ গড়ছে। কিন্তু তারা সেই সব নারী, যারা এরই মধ্যে বিখ্যাত হয়ে উঠেছেন এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের বড় প্রভাব আছে। আমার মনে হয় একজন সিঙ্গেল মা হওয়ায় আমার জীবন ধ্বংস হয়ে গেছে। যদি আমার কলেজ ডিগ্রি দিয়ে পরিবারকে সাপোর্ট করতে না পারি, তাহলে তো পারিবারিকভাবে আমি ব্যর্থ। একসময় টিকে থাকার জন্য প্রাপ্তবয়স্কদের একটি ওয়েবসাইটে যুক্ত হতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তা আর হয়ে ওঠেনি। এটা আমার জন্য মানসিক যন্ত্রণার কারণ।