মোঃ নজরুল ইসলাম লাভলু কাপ্তাই, (রাঙামাটি): দীর্ঘ চার মাস ১২ দিনের মৎস্য আহরণে নিষেধাজ্ঞা শেষে গত বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) মধ্যরাত থেকে কাপ্তাই লেকে মাছ আহরণ শুরু করেছে জেলেরা। নির্বিঘ্নে মাছের প্রাকৃতিক প্রজননসহ মাছের স্বাভাবিক বৃদ্ধির জন্য প্রতি বছর ১ মে থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত মাছ শিকার বন্ধ করা হয়। কাপ্তাই হ্রদে পানি কম থাকায় এই সময় সীমা ৩১ আগস্ট পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়। কাপ্তাই লেকে মাছ আহরণে নিষেধাজ্ঞার ইতিহাসে এবারই টানা ১৩২দিন মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা ছিল। গত ১৯ জুলাই লেকে তিনমাসের জন্য মৎস্য আহরণের উপর নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হলেও লেকে পর্যাপ্ত পানি না থাকায় আরও দুই দফায় এক মাস ১২ দিন নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছিল। এদিকে, কাপ্তাই হ্রদে মাছ আহরণ শুরু হওয়ার প্রথমদিন শুক্রবার(১ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে লেকের কাপ্তাই মৎস্য উপ কেন্দ্রের আপষ্ট্রিম জেটিঘাটে সারি সারি চাপিলা, কাচকি সহ নানা জাতের মাছের ড্রাম নিয়ে ভীড় করছে জেলেদের বোট। আর ব্যবসায়ীরা শুল্ক পরিশোধ করে সেসব মাছ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছাতে বরফ দিয়ে সংরক্ষণের ব্যবস্থা করে তুলে নিচ্ছে ট্রাকে। ব্যবসায়ী এবং জেলেদের মাঝে দীর্ঘদিন পর কর্মচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে। সবাইকে ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে। স্থানীয় কয়েকজন মৎস্য ব্যবসায়ীর সাথে আলাপকালে তারা জানান, প্রথমদিনে মাছের আকার ছোট দেখে হতাশ হলেও তারা আশা করছেন, পরবর্তীতে আশানুরূপ মাছ শিকার করা সম্ভব হবে। দীর্ঘ ১৩২ দিনের অপেক্ষার অবসান হওয়ায় স্বস্তি ফিরেছে জেলেদের মাঝেও। স্থানীয় জেলেরা জানান, ব্যবসায়ীরা তালিকাভুক্ত জেলেদের কাছ থেকে মাছ বুঝে নিচ্ছে। তবে অন্যান্য বছরের চেয়ে এবছর প্রথম দিনেই মাছ পাওয়া যাচ্ছে কিছুটা কম। কেচকি-চাপিলা মাছের আকারও অনেকাংশে ছোট। কেউ কেউ প্রথম দিকেই মাছ কম পাওয়ায় বিষয়টি ইতিবাচকভাবে দেখছেন। বলছেন, প্রথম দিকে মাত্রাতিরিক্ত মাছ পাওয়া গেলে মৌসুম শেষে মাছ পাওয়া যায় না। চলতি মৌসুমের শেষদিক পর্যন্তও মাছ পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কাপ্তাই মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন কাপ্তাই উপকেন্দ্র শাখা ব্যবস্থাপক মাসুূূদ আলম জানান, আশাকরি গত বছরের মত এবারও ভাল মাছ আহরণ ও সরকারি রাজস্ব আয় হবে।
নিষেধাজ্ঞা শেষে কাপ্তাই লেকে মাছ ধরা শুরু। কাপ্তাই মৎস্য উপকেন্দ্রে কর্মচাঞ্চল্য

সংবাদটি শেয়ার করুন
একটি মন্তব্য করুন
একটি মন্তব্য করুন