সিরাজগঞ্জ পয়েন্ট
কদিন ধরেই যমুনা নদীর পানি বাড়ছে। এতে সিরাজগঞ্জে প্রতিদিনই প্লাবিত হচ্ছে নদীতীরবর্তী নতুন নতুন এলাকা।
সকাল ৯টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় যমুনার পানি সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে ১০ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ১৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এতে তলিয়ে যেতে শুরু করেছে বসতবাড়ি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, রাস্তাঘাট ও ফসলি জমি। নষ্ট হচ্ছে কৃষকের শাক-সবজি, বীজতলা ও রোপা আমনসহ বিভিন্ন ফসল।
শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) সরেজমিনে দেখা যায়, জেলার যমুনা নদীবেষ্টিত ৫টি উপজেলার প্রায় ৪২টি ইউনিয়নে চরাঞ্চলের নিম্নভূমি তলিয়ে গেছে। বিশেষ করে সদর উপজেলার কাওয়াকোলা, মেছড়া, কালিয়া হরিপুর ও সয়দাবাদ ইউনিয়নের মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে।
এরই সাথে বিপাকে পড়েছেন গো-খামারিরা। বন্যার পানিতে শাহজাদপুরে গো-চারণভূমি ও বিস্তীর্ণ ঘাসের জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। খামারিদের বাড়িতে ছোট স্থানে গাদাগাদি করে পশু পালন করায় নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে গবাদি পশু। সবুজ ঘাস না থাকায় কচুরিপানা, খড় ও দানাদার খাদ্যে বাড়তি ব্যয় হচ্ছে খামারিদের।
বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে জেলা প্রশাসক মীর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান জানান, বন্যাকবলিতদের তালিকা তৈরির কাজ চলছে; শেষ হলেই শুরু হবে ত্রাণ কার্যক্রম।
বন্যার কারণ সম্পর্কে সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাহবুবুর রহমান জানান, আসামে প্রচুর বৃষ্টিপাতের কারণে যমুনার পানি বাড়া অব্যাহত। আগামী আরও কদিন পানি বাড়বে।
তবে ভয়াবহ বন্যার আশঙ্কা নেই বলেও জানান তিনি।