বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় ১৭১ স্কোর নিয়ে শীর্ষে রয়েছে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা। সেইসঙ্গে ঢাকার বায়ুমানেরও অবনতি ঘটেছে। বায়ুদূষণের শীর্ষ ১০ শহরের মধ্যে মেগাসিটি ঢাকার অবস্থান পঞ্চমে।
শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সে (একিউআই) ১৪৬ স্কোর নিয়ে ঢাকার অবস্থান পাঁচে; যা দূষণের দিক থেকে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর।
এ ছাড়া বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় ১৫৭ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে মালয়েশিয়ার কুচিং শহর; একই সময়ে ১৫৬ স্কোর নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গ; ১৫৩ স্কোর নিয়ে চতুর্থ স্থানে রয়েছে ভারতের কলকাতা শহর; ১৪০ স্কোর নিয়ে ৬ষ্ঠ স্থানে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর, ১৩০ স্কোর নিয়ে ৭তম স্থানে রয়েছে ভারতের মুম্বাই এবং ১২৭ স্কোর নিয়ে অষ্টম স্থানে আরেক শহর দিল্লি। এ ছাড়া ১২৪ স্কোর নিয়ে ৯ম স্থানে রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতে দুবাই শহর; ১১৭ স্কোর নিয়ে ১০ম স্থানে রয়েছে মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার এ তালিকা প্রকাশ করে। একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়; আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু বলে মনে করা হয়।
২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে। এদিকে ৩০১ থেকে ৪০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়, যা নগরের বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
সাধারণত একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে; যেমন: বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদফতর ও বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয় যে, ঢাকার বায়ুদূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো: ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলা।