বিএনপির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আলোচনা সভায় -গোলাম আকবর খোন্দকার
বিএনপি চেয়ারপারসন এর উপদেষ্টা কাউন্সিলের সন্মানিত সদস্য, সাবেক রাষ্ট্রদূত ও সংসদ সদস্য এবং চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম আকবর খোন্দকার বলেছেন, সব রাজনৈতিক দলগুলো একমত হয়েছে। এই সরকারের পতন ছাড়া এই রাষ্ট্রের কল্যাণ সম্ভব নয়। শুধু ক্ষমতার পরিবর্তনের জন্য নয়, রাষ্ট্রকাঠামোর জন্য এই সরকারকে বিদায় জানাতে হবে। আরও ঐক্যবদ্ধ হয়ে জনগণই পথ দেখাবে। এখান থেকে বের হতেই হবে।
গত কয়েক বছর ধরে গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনার জন্য বাংলাদেশের মানুষ যে সংগ্রাম-লড়াই শুরু করেছে, এই লড়াই তীব্র গতিতে তার চূড়ান্ত পরিণতির দিকে যাচ্ছে।
তিনি বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন দেশের মেহনতি মানুষের জন্য ১৯ দফা কর্মসূচী দিয়েছিলেন জিয়াউর রহমান।এ ১৯ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে দলের নেতা কর্মীদেরকে এগিয়ে আসার আহবান জানান।
তিনি আজ ২৮ আগষ্ট সোমবার বিএনপির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে গৃহীত সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচীর প্রথম দিনে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছিলেন।
নাসিমন ভবনস্হ দলীয় কার্যালয়ে উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মোহাম্মদ সরোয়ার উদ্দিন সেলিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য ব্যারিস্টার মীর হেলাল উদ্দিন এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জনাব এম এ হালিম, অধ্যাপক ইউনুস চৌধুরী, নুরুল আমিন, নবু মোহাম্মদ, ইন্জিনিয়ার বেলায়েত হোসেন, মোহাম্মদ সেলিম চেয়ারম্যান উপস্থিত ছিলেন।
গোলাম আকবর খোন্দকার বলেন, বিএনপির আন্দোলন কতটা সফল হয়েছে, তার প্রমাণ বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত যে এই সরকার গত ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে জালিয়াতি করেছে, চুরি করেছে। জনগণের মতামতকে সেখানে প্রকাশ করতে দেওয়া হয়নি। আজকে প্রমাণিত হয়েছে বলেই গণতন্ত্রের জন্য, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য, ভোটের অধিকারকে নিশ্চিত করার কথা বলা হচ্ছে।
প্রধান বক্তা বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মীর হেলাল বলেছেন, ক্ষমতাসীন সরকার গণতান্ত্রিক পরিসরকে সংকোচিত করে হত্যা, গুম, খুন ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপের মাধ্যমে ভয় দেখিয়ে বিরোধীদলকে নির্মূল করতে চায়।
তিনি বলেন,আগের নির্বাচন গুলোতে কোনো অনিয়ম হলে নির্বাচন কমিশন ইচ্ছে করলে একটা এলাকার নির্বাচন বাতিল করতে পারত। সেখানে আবার পুনঃনির্বাচন ঘোষণা করতে পারত। এই সংশোধনীতে এই ব্যবস্থা রহিত করে সরকার আবারও প্রমাণ করল- তারা জোর করেই এবং তাদের মতো করেই নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে চায়। জনগণকে পুরোপুরিভাবে হতাশ করতে চায়। জনগণকে ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত করতে চায়। এই ভোটের অধিকার হরণ করেই এই সরকার ক্ষমতায় টিকে আছে।
চট্টগ্রাম উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মোঃ আকবর আলীর সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল ইসলাম বাবুল, সোলাইমান রাজ, ইউসুফ তালুকদার, জসিম চৌধুরী, জি এম মোর্শেদ, খালেকুজ্জামান রাশেদ, ফোরকান ইকবাল, এরশাদ মির্জা, সেচ্ছাসেবক দল নেতা মন্ছুর আলম, মোঃ শরীফ, মোহাম্মদ আলাউদ্দিন, শাহ ফোরকান, মনি তালুকদার, হেলাল উদ্দিন বাবর, কামাল উদ্দীন, ইলিয়াছ মেহেদী, নাজিমউদ্দীন, মোহাম্মদ নবী প্রমূখ নেতৃবৃন্দ।
*******