ভোটারদের আকৃষ্ট করতে পারেনি অভিজাত এলাকা খ্যাত আলোচিত ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচন। গুলশান-বনানীর ভোটারদের মধ্যে এই নির্বাচনটি নিয়ে একপ্রকার অনীহা দেখা গেছে। এমনকি বস্তি এলাকার কেন্দ্রগুলো ভোটারশূন্য। ভোটগ্রহণের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ছিল অনেকটা একই দৃশ্য। সুনসান-নীরব। কোনো কেন্দ্রের সামনেই দীর্ঘ লাইন চোখে পড়েনি। ভোটগ্রহণ শুরুর দিকে নির্বাচনী কর্মকর্তারা বলেছিলেন- বেলার বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে। তবে বেলা বাড়লেও ভোটাররা কেন্দ্রমুখী হননি। ভোটারের অপেক্ষায় ঘুমিয়ে-আড্ডা দিয়ে অলস সময় পার করেন নির্বাচনী কর্মকর্তারা। দীর্ঘক্ষণ পরপর একজন-দুজন কেন্দ্রে এসে ভোটার উপস্থিতি দেখে রীতিমতো হতাশ হন।
দুপুর ২টা পর্যন্ত মানারাত ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে ৪ দশমিক ২২ শতাংশ ভোট পড়ে। এই দৃশ্য প্রায় সব কেন্দ্রেই ছিল। শেষ পর্যন্ত ভোটের হার ৫-১০ শতাংশের বেশি হবে না জানিয়েছেন দায়িত্ব পালন করা গণমাধ্যম কর্মীরা। ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করলেও ভোটের পরিবেশ ভালো বলে দাবি করেছেন নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা।
এদিকে নির্বাচনে তেমন কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। তবে অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ তুলে নির্বাচন বর্জন করেছেন ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী তারিকুল ইসলাম ভুঞা। কেন্দ্র থেকে এজেন্টদের বের করে দেয়ার অভিযোগ করেছেন আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম। তবে শেষ পর্যন্ত মাঠে থেকে কিভাবে তাকে হারানো হয় সেটা দেখবেন বলে মন্তব্য করেন আলোচিত এই কনটেন্ট ক্রিয়েটর। নির্বাচনে কালো টাকা ছড়ানোর অভিযোগ করে আল্লাহর কাছে বিচার দিয়েছেন জাকের পার্টির প্রার্থী কাজী রাশিদুল হাসান রাশেদ।
তবে নৌকার বিজয়ের আশাবাদ ব্যক্ত করে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেছেন, চারদিকে শুধু নৌকার ভোট। নৌকা বিজয়ী হবে। এর তো কোনো বিকল্প নেই বাংলাদেশে।